পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
যেহেতু প্রতিদিন ভারত-নেপালে লোকজন পারাপার করে, তাই নেপালে যাওয়ার জন্য করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোজ ভিড় উপচে পড়ছে। যা সামাল দিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন। এজন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছে, যাঁদের কোভিড উপসর্গ রয়েছে, শুধুমাত্র তাঁদেরই টোকেন দিয়ে টেস্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
অন্যদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি তুলেছেন, নেপালের মতো এ দেশেও আসতে হলে সীমান্তে আরটিপিসিআর কিংবা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখা হোক। কারণ, শুধু থার্মাল স্ক্রিনিং করলেই করোনা ধরা পড়ে না। পানিট্যাঙ্কি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী বলেন, নেপালের লোকেরা প্রতিদিনই এদিকে আসছে। আমাদের মনে হয়, প্রচুর লোক কোভিড উপসর্গ নিয়ে আসছে। সেজন্য এদিকে সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে। নেপালের মতো ভারত সরকারও সীমান্তে আরটিপিসিআর কিংবা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করা দরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক অফিসার বলেন, এ বিষয়ে অফিসিয়াল কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কিন্তু, ভারতীয় নাগরিকরা নেপাল গেলে তাঁদের আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হচ্ছে। করোনার প্রথম ধাপে আমাদের দেশের সরকারের যে নির্দেশিকা ছিল, সেই অনুযায়ী থার্মাল স্ক্রিনিং, নথিপত্র যাচাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। খড়িবাড়ির বিএমওইচ ডাঃ সফিউল আলম বলেন, প্রতিদিনই শতাধিক লোক অযথা টেস্ট করাতে আসছে। আমরা এতদিন করে দিয়েছি। গত সপ্তাহে শুধুমাত্র নেপালে যাবে বলে টেস্ট করাতে আটশোরও বেশি মানুষ এসেছিল। তাদের পরীক্ষার জন্য বিপুল সংখ্যক কিটের দরকার হচ্ছে। কিন্তু, অত কিট আমরা পাচ্ছি না। এমনটা চলতে থাকলে প্রকৃত উপসর্গ যাঁদের আছে, তাঁরা হয়তো বঞ্চিত হবেন। আমরা তাই বিডিও ও থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। যাঁদের উপসর্গ থাকবে, শুধুমাত্র তাঁদের টেস্টের জন্য টোকেন দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালে প্রবেশ করতে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট সীমান্তে পেশ করতে হয়। আগে ভারত থেকে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে নেপালে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করত। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কমে দৈনিক হাজার চারেক হয়েছে। এরমধ্যে ৩ তিন হাজারের বেশি নেপালের নাগরিক। এসএসবির চেকপোস্টের মেডিক্যাল ক্যাম্পে দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী ডিউটি করেন। চেকিংয়ের সময়ে সন্দেহ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইসোলেট করা হয়ে থাকে। আপাতত এভাবেই চলছে।