রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গোরুমারা জঙ্গলের কাছে তৈরি করা হয়েছে মডেল ভিলেজটি। যেহেতু জঙ্গল কাছেই, তাই মাঝেমধ্যে ওই গ্রামে হাতির হামলা হয়। গত কয়েক বছরে মডেল ভিলেজের বেশ কয়েকটি বাড়ি হাতি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া প্রায়ই গ্রামে এসে শাকসব্জি, ফসল খেয়ে নেয় হাতির পাল। সম্প্রতি বনদপ্তর গোটা মডেল ভিলেজকে ব্যাটারিচালিত পাওয়ার ফেন্সিং দিয়ে ঘেরার উদ্যোগ নেয়। মাস খানেক আগে কাজ শুরু করে তা শেষ করা হয়েছে। ফলে এখন জঙ্গল ছেড়ে হাতি গ্রামের দিকে এলেও মডেল ভিলেজে ঢুকতে পারছে না।
মডেল ভিলেজের বাসিন্দা কৈলাস গোপ বলেন, হাতির হামলা থেকে রক্ষা পেতে বনদপ্তর ব্যাটারিচালিত পাওয়ার ফেন্সিং দিয়ে গ্রাম ঘিরে দিয়েছে। ফলে গত একমাসে গ্রামে হাতির হামলা হয়নি। আমরা এই সরকারি উদ্যোগে খুশি। এলাকার আরএক বাসিন্দা ফুলেস্বর ওঁরাও বলেন, সন্ধ্যা হলেই আগে আমরা আতঙ্কে থাকতাম। প্রায়ই হাতির হামলা হতো। কিন্তু, একমাস হল হাতি আর আসছে না। এবার আমাদের উৎপাদিত ফসল আমরা বিক্রি করতে পারব।
বন্যপ্রাণ শাখার গোরুমারা বিভাগের এডিএফও জন্মেজয় পাল বলেন, মডেল ভিলেজের কাছেই জঙ্গল। তাই ওই এলাকায় হাতির হানার ঘটনা ঘটত। এলাকার বাসিন্দারা আমাদের সাহায্য চেয়েছিলেন। তাই আমরা ব্যাটারিচালিত পাওয়ার ফেন্সিং করে দিয়েছি। এ জন্য প্রায় ন’লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। গ্রামবাসীদের বলেছি, তাঁরাই ওসব দেখভাল করবেন।
প্রসঙ্গত, মডেল ভিলেজে ৫৭১টি বাড়ি রয়েছে। চা বাগানের যাঁরা অস্থায়ী শ্রমিক, মূলত তাঁদের নামেই এলাকায় জমি দিয়ে ঘর বানিয়ে দিয়েছে সরকার। প্রায় পাঁচবছর আগে এটি তৈরি করা হয়। গ্রামে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, সোলার লাইট রয়েছে। এতসবের ব্যবস্থা থাকলেও প্রায়ই সন্ধ্যার পর গ্রামে হাতির হানা হতো। হাতি খেতের ফসল তছনছ করার পাশাপাশি বাড়ি ভেঙে দিত। পাওয়ার ফেন্সিং হওয়ায় বাসিন্দারা এখন স্বস্তিতে।