বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাটের এক যুবক দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, আমি অনেক দিন আগেই কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পাইনি। প্রতিদিনই হাসপাতালে খোঁজখবর নিচ্ছি। করোনায় এবার আমাদের মতো যুবকরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন না পেয়ে আরও বেশি দুঃশ্চিন্তায় ভুগছি। শহরের এক প্রবীণ নাগরিক নিমাই প্রামাণিক বলেন, প্রথম যখন ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছিল, সেই সময় লাইনে ভিড় থাকায় দু’দিন ঘুরে এসেছি। কিন্তু এখন শুনছি, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। ক’দিন পর থেকে শুরু হবে। ভ্যাকসিনের জন্য আরও দু’দিন খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু পাচ্ছি না।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাই রাজ্য থেকেই আপাতত প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের কাছে এখন যা ভ্যাকসিন রয়েছে, তাতে দ্বিতীয় ডোজের জন্য রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন এলে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে দেওয়া শুরু হবে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে দিন দিন করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত শনিবার জেলায় ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যা নিয়ে সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৩২ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের। এদিকে, অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমতাবস্থায় কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য চিন্তিত সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, গতবার বালুরঘাট হাসপাতালের বহির্বিভাগে পৃথক ফিভার ক্লিনিক চালু করা হয়েছিল। ফলে জ্বর বা করোনা সন্দেহভোজন রোগীদের আলাদাভাবে চিকিৎসা করা হতো। কিন্তু এবার সেই ফিভার ক্লিনিক চালু না করায় একই লাইনে রোগীদের টিকিটের জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে। এবিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার পার্থসারথী মণ্ডল বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসক কম। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে রোগীদের আলাদা লাইন করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত কীভাবে ফিভার ক্লিনিক চালু করা যায় তা দেখা হচ্ছে।