গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গাজোল সদরের বাসিন্দা প্রীতম কুণ্ডু, রবি সাহা বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে গাজোল হাসপাতাল থেকে পাম্প মোড় পর্যন্ত একাধিক পথবাতি অকেজো হয়ে রয়েছে। এছাড়াও ট্রাফিক মোড় ও কদুবাড়ি সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকায় একই অবস্থা। সেখানে পথবাতিগুলি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। সন্ধ্যার পরই গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। সেসময় পথ চলতে ভয় হয়। দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কা থাকে। এনিয়ে বহুবার জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। এখন সংস্কারের কাজ হচ্ছে। আগামী দিনে লাইট জ্বললে এলাকা ফের আলোকিত হয়ে উঠবে। সকলের যাতায়াতে সুবিধা হবে। সৌন্দর্যায়ন বাড়বে। এতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। পঞ্চায়েত আরও আগে উদ্যোগ নিলে ভালো হতো। তবুও গ্রামবাসী হিসেবে এই কাজকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
গাজোল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিজেপির কাজল কুণ্ডু বলেন, ভোটের জন্য কাজ একটু পিছিয়ে ছিল। গাজোল সদরে উঁচু বাতি স্তম্ভগুলি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ব্লক সদরের বিভিন্ন জায়গায় লাইট ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। এই সংস্কারের কাজ করতে আনুমানিক ৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এই টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব ফান্ড থেকে দেওয়া হবে। আগামী দিনে ইলেকট্রিক বিলও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ মিটিয়ে দেবে। ধীরে ধীরে উঁচু বাতি স্তম্ভগুলি ঠিক হচ্ছে। কিছু আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জুন মাসের মধ্যেই সমস্ত বাতিস্তম্ভ ঠিক করে আলেকা জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। সেজন্য জোরকদমে কাজ চলছে। গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিন্দু পূজর মাল বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে লাইট সব বন্ধ ছিল। সারাই করা হয়নি। এর কারণ, প্ৰচুর অর্থের প্রয়োজন ছিল। তখন পঞ্চায়েতের ফান্ডে এত বিপুল অর্থ ছিল না। কেননা এই নিজস্ব ফান্ড দিয়ে সাফাই সহ অনেক কাজ করতে হয়। তাই হয়নি। এখন অর্থ রয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তা দিয়েই উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গাজোল ব্লক সভাপতি মানিক প্রসাদ বলেন, নানা মহল থেকে বাতিস্তম্ভগুলি সংস্কারের দাবি উঠছিল। এখন সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এতে আমরা খুশি।