কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মৌসম নুর বলেন, উন্নততর ইংলিশবাজার গঠনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। তার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই নজর দেওয়া হবে। অতীতেও আমি ইংলিশবাজার শহরের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি। আগামী দিনেও করব।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে শহরে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ইংলিশবাজার ব্লকের গ্রামাঞ্চলে মানুষ তৃণমূলকে ভোটে দু’হাত তুলে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু শহরে বিজেপির কাছে ঘাসফুল শিবির পর্যুদস্ত হয়েছে। তার ফলে তৃণমূল ওই বিধানসভায় পরাজিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব একদফা আলোচনা করেছে। নির্বাচনের সময় দলের বিদায়ী কাউন্সিলারদের ভূমিকাও আতস কাচের নীচে চলে এসেছে। ফলাফল বিশ্লেষণের পাশাপাশি আগামী দিনের রণকৌশল স্থির করতেও তৃণমূল নেতৃত্ব উঠে পড়ে লেগেছে। তা যে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তা শাসক দলের নেতারা স্বীকার করে নিয়েছেন।
এদিকে, ইংলিশবাজার শহরের পুর পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। শহরের নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বর্ষায় সিংহভাগ ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়। জল নামতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই থাকে। শহরে আর্সেনিকমুক্ত পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ এখনও শুরু করা যায়নি। শহরবাসীকে জার ভর্তি পানীয় জল কিনে খেতে হয়। জঞ্জাল এবং যানজট সমস্যাও ইংলিশবাজারবাসীকে ভোগায়। পাকিং জোন গড়ে তুলতে পুর কর্তপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। শহরের বড় বড় বাজারগুলির অবস্থা ভালো নয়। পুরসভা পরিচালিত ওইসব বাজার ভেঙেচুরে গিয়েছে। ফলে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের মাথায় মাঝমধ্যেই সিলিংয়ের চাঙর খসে পড়ে। এবার এইসব বিষয়ের উপর তৃণমূল জোর দিতে চাইছে।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, গত দশ বছর ধরে পুরসভায় আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। স্থানীয় বিধায়করাই বেশিরভাগ সময় পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে পুর এলাকার সিংহভাগ সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে শহরের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ আমাদের ভোট দেননি। তাঁদের মন পেতে আমরা পুর পরিষেবা দেওয়ার দিকে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।