পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিসিডিএ’র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি অশোক মৈত্র বলেন, জেলা জুড়ে ওষুধের ক্ষেত্রে আমাদের এখনও মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি নেই। শুধুমাত্র কিছু ওষুধ জেলায় কম পরিমাণে থাকায় জোগানে কিছুটা হলেও টান রয়েছে। একটি বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক যা আগে খুব একটা ব্যবহার হতো না এখন হচ্ছে, সেইসঙ্গে জিঙ্ক ও ভিটামিন সি’র ক্ষেত্রে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কেমিস্টদের দোকানে এক প্রকার অমিল হয়ে রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে বাইরের রাজ্যগুলি থেকে পরিবহণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ওষুধ কলকাতা ও শিলিগুড়িতে ঢুকতে দেরি হচ্ছে। আংশিক লকডাউন চলায় শিলিগুড়ি ও কলকাতা থেকে জেলায় স্টকিস্টদের ঘর থেকে ডিস্টিবিউটর ও কেমিস্ট কাউন্টারে ওষুধ আসতেই এখন অনেকটা দেরি হচ্ছে। আমরা ওষুধের অর্ডার দিলে আগে জেলায় ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে ঢুকে যেত। এখন ঢুকতে ৭ থেকে ১০ দিন লাগছে। তবে কোনও ঔষুধের সরবরাহ বন্ধ নেই।
বালুরঘাটের এক ওষুধ ডিস্টিবিউটর অভিজিৎ সেন বলেন, ভোটের কারণে ট্রাক ও গাড়ি সরকার নিয়ে নেওয়ার কারণে জেলায় ওষুধ ঢুকতে সমস্যা হয়েছিল। তাছাড়া জোগানে টান পড়ার প্রধান কারণ আমাদের জেলার যা ওষুধের চাহিদা ছিল হঠাৎ করে তা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। শুধু আমাদের জেলা নয় বেশিরভাগ জেলায় একই সমস্যা হওয়ায় পর্যাপ্ত ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ করে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় স্টকেও একটু হলেও টান পড়েছে। অর্ডার থাকলেও কম ওষুধ আসছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা সর্বজিৎ গুহ বলেন, শহরের দোকানগুলিতে ভিটামিন সি ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। জিঙ্কের ক্ষেত্রে কোথাও ট্যাবলেট নেই, কোথাও সিরাপ আছে। একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা এখন জ্বর হলে চিকিৎসকরা খেতে বলছেন, সেটিও নানা দোকান ঘুরে ঘুরে জোগাড় করতে হচ্ছে। কী কারণে এই সমস্যা তা জেলা প্রশাসনের দেখা উচিত।