কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মাত্র বছর দুয়েক আগেই দীর্ঘদিনের কংগ্রেস ঘরানা থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ সম্বল করে তৃণমূলে পা রাখেন মৌসম। তৃণমূলে যোগদানের দু’মাসের মধ্যে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে উত্তর মালদহে ঘাসফুল ফোটাতে ব্যর্থ হলেও কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। তাঁর উপরে অটুট থেকেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর আস্থাও। বরং দায়িত্ব বেড়েছে। জেলা তৃণমূলের সভানেত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি মালদহ থেকে এই প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও মৌসমকেই বেছে নিয়েছেন মমতা। হাতেনাতে ফল এসেছে দু’বছরের মধ্যেই। যে মালদহে পাঁচ বছর আগের বিধানসভা এবং দু’বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তৃণমূলকে, এখন ওই মালদহেরই আটটি বিধানসভা কেন্দ্রজুড়ে শুধুই ঘাসফুল।
কংগ্রেস বলতে মালদহে এক সময় বোঝাত কোতোয়ালি ভবনকেই। এই কোতোয়ালিই ছিল জেলা রাজনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক। এখনও তাই রয়ে গিয়েছে। তবে বদলে গিয়েছে লাগাম। কংগ্রেসের হাত থেকে কোতোয়ালি ভবনের লাগাম এখন তৃণমূলের মৌসমের হাতে।
বরকত সাহেবের প্রয়াণের ছয় বছর পর থেকেই ধীরে ধীরে কোতোয়ালি ভবনে পা রাখতে শুরু করে তৃণমূল। শাহনাজ কাদরি, আবু নাসের খান চৌধুরী আগেই তৃণমূলে গিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী সাফল্য আসেনি সেভাবে। বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন বরকত গনিখানের ভাগ্নি মৌসম। তাঁর জেলা সভাপতিত্বে জেলায় বিপুল সংখ্যায় ফুটল ঘাসফুল।
তবে মৌসম নিজে অবশ্য সবটুকু কৃতিত্বই দিচ্ছেন এক এবং একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, এই জয় আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার। তাঁর প্রতি মালদহের মানুষের সম্পূর্ণ আস্থার।
স্মৃতিচারণ করে মৌসম বলেন, আমাদের কৈশরে দেখেছি বরকত মামা সিপিএম বিরোধী এবং ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আস্থা রাখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই। বরকত মামা সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দিয়েছিলেন। হাতে কলমে সেই কাজটাই করে দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কফিনেও শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছেন তিনিই। আমি তাঁরই সৈনিক হিসেবে বাধ্য ছাত্রীর মতো তাঁর নির্দেশ মেনে চলাতেই এই সাফল্য এসেছে।