পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মালদহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, লোকসভার মতো বিধানসভাতেও বিজেপি মেরুকরণ করে ভোট পেয়েছে। তবে আমরা দেখেছি অতীতে লোকসভায় না হলেও পুরভোটে আমাদের পক্ষে শহরের বাসিন্দারা রায় দিয়েছেন। তাই আমরা মনে করছি, বিধানসভা ভোটের প্রভাব আগামী পুরসভা ভোটে পড়বে না। শহরের মানুষ যথেষ্ট সচেতন। তাঁরা উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের পাশে থাকবেন। তবে বিধানসভা ভোটে এখানে আমাদের কেন হার হল তা পর্যালোচনা করব।
পুরাতন মালদহ নগর মণ্ডল বিজেপির সভাপতি সুজিত দাস বলেন, লোকসভা, বিধানসভা, পুরসভা সব ভোটেই আমরা লিড দিয়ে আসছি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আগামী দিনে যে নির্বাচন হবে, তাতেও বিজেপি ভালো ফল করবে। আমরা মেরুকরণের ভোট পাইনি, মানুষ ভালোবেসে উজার করে ভোট দিয়েছে।
শহর কংগ্রেসের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস বলেন, পুরসভা ভোট হয় ব্যক্তি বিশেষে। এই ভোটের ফলাফলে পুরভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এবার যে ফল হয়েছে তা সম্পূর্ণ মেরুকরণ ও ধর্মের ভিত্তিতে। তৃণমূল ও বিজেপির একেঅপরকে টেক্কা দিয়েছে। আমাদের খারাপ ফলের বিষয়ে পর্যালোচনা হবে।
এবারের বিধানসভা ভোটে মালদহ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী গোপালবাবু পান ৯৩ হাজার ৩৯৮টি ভোট। তৃণমূল প্রার্থী ১৫ হাজার ৪৫৬ ভোট কম পান। গোপালবাবু শুধু শহরেই ১৭ হাজার ৮০৪ ভোটে লিড পেয়েছেন। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, শহরে ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই বিজেপি প্রার্থী লিড দিয়েছেন।
২০১৪ সালে মোদি হাওয়ার উপর ভর করে বিজেপি শহরে একাধিক ওয়ার্ড লিড দিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে পুরভোট হয়। তাতে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। ২০১৯’র লোকসভা ভোটে শহরে বিজেপি লিড পেয়েছিল। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ফলে উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলকেই ভোট দিতে চাইবেন শহরের মানুষ।