বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, উদয়ন গুহর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার তৃণমূলের ডাকা বন্ধে দিনহাটা ছিল শুনশান। সরকারি, বেসরকারি যানবাহন চলাচল করেছি। দিনহাটা শহর ছাড়াও মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ পালিত হয়। দোকানপাটের ঝাঁপ নামানো ছিল। এদিন বন্ধকে ঘিরে গোটা মহকুমাজুড়ে কড়া পুলিসি প্রহরা ছিল। যদিও তৃণমূলের ডাকা ওই বন্ধের জেরে কোথায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সায়ন্তনবাবু বলেন, আইসির বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না সেই ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস সুপারের কোর্টে মামলা করার সুযোগ রয়েছে। সেই মামলা করা হবে। তার কপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ করে কেউ কেউ বাজার গরম করতে চাইছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি কোচবিহারেও বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হচ্ছে, এটা জলের মতো পরিষ্কার। তাই মিথ্য বদনাম করে কারও সহানুভূতি ওরা আদায় করতে পারবে না।
আইসি সঞ্জয় দত্তকে এদিন একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কোচবিহারের পুলিস সুপার কে কান্নন বলেন, গণ্ডগোলের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। এর বেশিকিছু বলতে পারব না।
বৃহস্পতিবার দিনহাটা শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বয়েজ ক্লাব চত্বরে তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহের উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামালায় তাঁর হাত ভেঙে যায়, কাঁচে চোট লাগে। উদয়ন গুহকে বাঁচাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে চোট পান তাঁর দুই নিরাপত্তাকর্মী। সকলেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে দিনহাটায় সদ্য প্রাক্তন বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত পুলিস তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিস তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ধৃতরা সকলেই বিজেপি কর্মী। উদয়নের উপর হামালার পর এলাকায় উত্তজনা ছড়ায়। বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়িও ভাঙচুরের ঘটনায় ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, ওসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত সকলের বিরুদ্ধে নিদিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।