গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে করোনা রোগীর মৃতদেহ দাহ করার পর এদিন শ্মশানের কর্মীরা কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। যার জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক মৃত্যুর মৃতদেহগুলির সৎকারে বিঘ্ন ঘটে। বেশ কয়েক ঘণ্টা মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানযাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়।
যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, যেহেতু সাহুডাঙি শ্মশানে মৃতদেহের চাপ বেড়েছে তাই শহরের মাসকলাইবাড়ি শ্মশানে দেহ সৎকার করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের কাছে আমাদের অনুরোধ, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী এই কাজ চলছে। করোনা রোগীদের মৃতদেহ দাহ শেষে শ্মশানকে জীবাণুমুক্ত করার কাজও গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে শ্মশানের কর্মী সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে, যাতে মানুষকে মৃতদেহ সৎকারে এসে অসুবিধায় পড়তে না হয়।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের আরএক সদস্য সন্দীপ মাহাত বলেন, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চারটি কোভিড মৃত্যু মারা যাওয়া দেহ সৎকার হয়েছে শ্মশানে।
এদিকে সকালে শ্মশানে আত্মীয়ার মৃতদেহ দাহ করতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ধৈর্য হারান অনেকে। জলপাইগুড়ি আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা শুভজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, মাসির মৃতদেহ পোড়াতে শ্মশানে নিয়ে যাই। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও সৎকারের ব্যবস্থা হচ্ছিল না। শ্মশানের অফিস রুমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বলা হয়, কর্মী অনুপস্থিত। পরে অবশ্য দেহ সৎকার করা হয়। আমাদের মতো অনেককেই হয়রানি হতে হয়েছে।