বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, মালতীপুর, রতুয়া, মোথাবাড়ি এবং সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৫৫ থেকে ৬৫ শতাংশের কাছাকাছি সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। ওই কেন্দ্রগুলির প্রতিটিতেই ন্যূনতম ৫৫ হাজার থেকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু মালদহের বাকি যে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা, ওই কেন্দ্রগুলিতেও গেরুয়া শিবিরের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। তফসিলি উপজাতি অধ্যুষিত হবিবপুর কেন্দ্রে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৫৩ হাজার ৮৩৬ ভোটে। সেই ভোটের পরেই বিধানসভা উপনির্বাচনে ওই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৬১৩ ভোট। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছে মাত্র ১৯ হাজার ৫১৭ ভোটে। অর্থাৎ লোকসভার তুলনায় বিজেপির জয়ের ব্যবধান কমেছে প্রায় ৩৪ হাজার। অন্যদিকে, লোকসভায় ৫৩ হাজার ৭৯৪টি ভোট পাওয়া তৃণমূলের ভোট ধারাবাহিকভাবে বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫৫৮টি।
একইভাবে তফসিলি সংরক্ষিত গাজোল কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪১ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়েছিল। কিন্তু এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ব্যবধান কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৯৮।
তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত মালদহ কেন্দ্রেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১ লক্ষ ৪ হাজার ভোট। তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে ছিল ৫৪ হাজার ভোটে। কিন্তু এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূলের ভোট বেড়ে হয়েছে ৭৭ হাজার। বিজেপির ভোট কমে হয়েছে ৯৩ হাজার। ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট ২৮ শতাংশের কাছাকাছি। এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯৩ হাজার ভোটে এগিয়েছিল। এবার তৃণমূল পেয়েছে ৮৭ হাজারের বেশি ভোট। বিজেপির জয়ের ব্যবধান কমে হয়েছে ২০ হাজারের সামান্য বেশি।
মানিকচক ও বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে বিজেপি, তৃণমূলের চেয়ে যথাক্রমে ৩৪ হাজার ও ২৬ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকলেও এবার দু’টি কেন্দ্রেই হেরে গিয়েছে। এই দু’টি কেন্দ্রেও সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়েরই ভোট বেশি। মালদহ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাম ও কংগ্রেস নিজেদের নাক কেটে বিজেপির যাত্রাভঙ্গ করাতেই এই ফল। তবে এই বিপর্যয় সাময়িক।