গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল মালদহ জেলা পরিষদ দখল করে। জেলা পরিষদে মোট ৩৮টি আসন রয়েছে। তারমধ্যে গত নির্বাচনে ৩৭টি আসনে নির্বাচন হয়। এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় একটি আসনে ভোট হয়নি। ওই নির্বাচনে তৃণমূল ২৯, বিজেপি ৬ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়লাভ করে। পরবর্তীকালে বিজেপি এবং কংগ্রেসের একজন করে সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ঘাসফুল শিবিরের মোট ৩১ জন সদস্য ছিল। বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর নেতৃত্বে একঝাঁক সদস্য কলকাতায় গিয়ে বিজেপির ঝান্ডা ধরেন। ফলে বিজেপি জেলা পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে বলে দাবি করে।
এদিকে, নির্বাচনের আগে বিজেপির এক সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। দলত্যাগী বাকি সদস্যরাও তৃণমূলে যোগ দিলে ফের ঘাসফুল শিবিরের পাল্লা ভারী হবে বলে প্রশাসনের একাংশও মনে করছে। সেক্ষেত্রে আস্থা ভোটে জেতা গৌরবাবুর পক্ষে মুশকিল হতে পারে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। দোলাচলে থাকা সদস্যরা যেদিকে ঝুঁকবেন, বোর্ড তাদেরই হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। মানিকচকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর হেরে গিয়ে এমনিতেই গৌরবাবু বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন। উপরন্তু সভাধিপতির পদ হাতছাড়া হলে তিনি জেলার রাজনীতিতে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।