কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রতিটি সেন্টারে ভ্যাকসিন ও টেস্টের দিনগুলিতে ভিড় বেড়ে যায়। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ববিধি মানার বালাই থাকে না। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে আসছেন, তাঁদের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন যাঁরা উপসর্গ নিয়ে টেস্ট করাতে আসা ব্যক্তিরাও। এর থেকে আশঙ্কা, যাঁরা সুস্থ অবস্থায় ভ্যাকসিন নিতে আসছেন, তাঁরা ঝুঁকির পরিবেশ থেকে সংক্রামিত হতে পারেন। আর যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন, তাঁরাও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। কারণ, অপরিসর জায়গায় গাদাগাদি করে একদল মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাঁরা গা ঘেঁষেই টেস্টের জন্য লোকজন দাঁড়াচ্ছেন।
শুধু এটাই নয়, জেনারেটর না থাকায় লোডশেডিং হলে অন্ধকারেই তাঁদের বসে থাকতে হয়, না হলে ঝুঁকি নিয়ে ভ্যাকসিনেশন করতে হয়। কাজের ফাঁকে পানীয় জলের জন্য ভিড় ঠেলে যেতে হয় ভবনের বাইরে ক্যাম্পাসে কিংবা রাস্তায় রাখা পুরসভার পানীয় জলের ট্যাঙ্কের কাছে। অফিসের মধ্যে পানীয় জলের ফিল্টার কিংবা জারের ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ।
এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, এভাবে রোগী ঠেলে জল নিতে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া আমরা জল নিতে যাই না। আরএক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, লোডশেডিং হলে তখন কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায়। নাম রেজিস্ট্রেশন অফলাইনে করতে গিয়ে কাজ জমে যায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, সমস্যাগুলি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা জানেন। তারপরেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হয় না। বুধবার ভ্যাকসিন ও করোনা টেস্ট না হলেও শিশু এবং প্রসূতিদের টিকাকরণ হয়। তখনও স্যানিটাইজ হয় না।
পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, ইউপিএইচসিতে পরিস্থিতির বিচারে ভ্যাকসিন ও কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার সময় পাইনি। কোথায় কী কী সমস্যা তা খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করব। সম্পূর্ণ বিষয়টি যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ ঝুঁকি বা বিপদে না পড়েন সেটা দেখা হবে। ভিড় এড়িয়ে নিরাপদ দূরত্ববিধি মেনে লাইনে মানুষকে দাঁড়ানোর জন্য আমরা পুলিসের সাহায্য চেয়েছিলাম। এখন ইউপিএইচসিগুলিতে পুলিস থাকছে।