বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। চেয়ারম্যান সহ নবগঠিত প্রশাসকমণ্ডলীতে মোট চারজনকে রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন, শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের বিদায়ী কাউন্সিলার তথা দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার, তৃণমূলের শ্রমিক নেতা অলোক চক্রবর্তী এবং স্থানীয় সমাজকর্মী বিবেক বৈদ।
২০১৫ সালে শিলিগুড়ি কর্পোরেশনে বামফ্রন্ট জয়ী হওয়ার পর মেয়র হন অশোক ভট্টাচার্য। ২০২০ সালের ১৬ মে ওই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তখন রাজ্যজুড়ে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় পুরভোট স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার বিশেষ আইন অনুসারে মেয়াদ উত্তীর্ণ কর্পোরেশনগুলিতে প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যের অন্যান্য কর্পোরেশনের মতোই শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোকবাবুকেই পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করে রাজ্য সরকার। এবার বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থী হওয়ার পরই অশোকবাবু ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গত মার্চ মাসে রাজ্যের ৫টি কর্পোরেশনের মনোনীত প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সহ বোর্ডের পদাধিকারীদের সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। সেই পদে বসানো হয় প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের। শিলিগুড়ি কর্পোরেশনে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয় গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধানসচিব সুরেন্দ্র গুপ্তাকে।
এবার ভোট মিটতেই ফের করোনার দাপটে নাজেহাল প্রশাসন। এইসময় পুরসভা এবং কর্পোরেশনে করোনা মোকাবিলার কাজে সরকারি অফিসারের থেকে অভিজ্ঞ প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মীদের মনোনীত করার দিকেই জোর দেয় সরকার। সেই হিসেবে এদিন রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী গৌতমবাবুকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রের খবর। ওই দপ্তরের প্রধানসচিব খলিল আহমেদ বলেন, করোনা মোকাবিলায় কর্পোরেশনগুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর তার প্রমাণও মিলেছে। শুধুমাত্র সরকারি অফিসারদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব ছিল না।
শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া এদিন বলেন, সরকারি সার্কুলার এদিনই এসেছে। শুক্রবার গৌতমবাবু প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। নতুন চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা তৈরি।
আর গৌতমবাবু এদিন বলেন, এখন কোভিডে বিপর্যস্ত সকলেই। পুর পরিষেবা দেওয়াই আমাদের প্রধান কাজ হবে। করোনা মোকাবিলায় কাজ চলছিলই, এবার সরকারি পরিকাঠামোর মধ্যে থেকে সেই কাজ আরও ত্বরান্বিত করার চেষ্টা চালাব আমরা। সে বিষয়ে কথা বলব প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও। এবিষয়ে অশোকবাবু বলেন, শিলিগুড়ির মানুষ আমাকে গ্রহণ করেননি বলেই তো হেরেছি। তাই পুরসভায় প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের পদে থাকব কেন বলতে পারেন। পাশাপাশি গৌতমবাবুকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি, এই দুঃসময়ে তিনি শক্তভাবে হাল ধরবেন। ফাইল চিত্র