রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মালদহে বিজেপির সদর দপ্তর শ্যামাপ্রসাদ ভবন রয়েছে পুরাটুলি বাঁধরোডে। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে নজরকাড়া ফল করার পরেই বহু পুরনো এই ভবনটির চেহারা বদলের কাজ শুরু করে দেয় বিজেপি। চোখ ধাঁধানো পরিবর্তন আসে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে। নতুন করে রং করার পাশাপাশি দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থাকার ব্যবস্থা করতে বেশ কিছু অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হয় এই ভবনে।
নির্বাচন যত এগিয়ে এসেছে, ততই বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বেড়েছে কর্মী-সমর্থকদের আনাগোনা। এমনকী করোনার মধ্যেই। বিভিন্ন ব্লক থেকে নেতা-কর্মীরা শ্যামাপ্রসাদ ভবনে হাজির হয়ে যেতেন সকাল থেকেই। দলীয় কার্যালয়ের সামনে নিজেদের গাড়ি বা বাইক রাখতেও সমস্যায় পড়তেন অনেক নেতা-কর্মী। কারণ, এক ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হতো। এখন সেই বিজেপি অফিসের সামনেই অফুরন্ত ফাঁকা জায়গা। গাড়ি পার্কিং করার সমস্যা রাতারাতি উধাও রাজ্যে দলের অপ্রত্যাশিত খারাপ ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গে। হাতেগোনা কয়েকজন কর্মী কখনও কখনও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন শ্যামাপ্রসাদ ভবনে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় আমরাই দলের নেতা-কর্মী সমর্থকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া জেলা কার্যালয়ে আসতে নিষেধ করছি। আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ দল। ভোটে আমরা প্রত্যাশিত সাফল্য পাইনি ঠিকই। কিন্তু তা বলে বিজেপির অস্তিত্ব সঙ্কট হয়েছে বলে মনে করার কারণ নেই।
আরও করুণ অবস্থা জেলা সিপিএম কার্যালয়ের। জেলা কার্যালয়ে থাকেন কয়েকজন সিপিএম কর্মী। তাঁরা বাইরে বেরলে পার্টি অফিসে তালা দিয়ে বেরচ্ছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, জেলা কার্যালয়ে থাকা এক পার্টি কর্মী সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর পার্টি অফিস স্যানিটাইজ করা হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের অনেককেই এই মুহূর্তে পার্টি অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। পার্টি অফিসে থাকা দলের সর্বক্ষণের কর্মী বাইরে গেলে মূল গেটে তালা দিয়ে বেরচ্ছেন। তবে জেলা বিজেপি ও সিপিএম নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের জেলা মুখপাত্র শুভময় বসুর প্রশ্ন, বিজেপি বা সিপিএম ভোটে রাজ্যের ক্ষমতায় এলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এতটা সাবধানী হতেন কি তাঁরা? আসলে ভোটের ফলাফলে হতাশ হয়ে ওই দুই দলের সমর্থকরা জেলা কার্যালয়ে যাতায়াত প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন। নিজস্ব চিত্র