বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ওএসডি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক ও প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, গতবারের মতো এবার আর শিলিগুড়িতে নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১০ বেডের কোভিড ওয়ার্ড রয়েছে। তারসঙ্গে ৯৬ বেডের একটি নতুন এইচডিইউ বিভাগ খোলা হবে। এর পাশাপাশি শিলিগুড়ি ইন্ডোন স্টেডিয়ামের সেফ হাউসটি আবার চালু করা হচ্ছে। সেখানে ৭০টি বেড থাকবে। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, হাতিঘিসাতেও সেফ হাউস থাকছে। কিন্তু, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে মানুষ সচেতন না হলে আগামী দিনে এই পরিকাঠামো দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংক্রমণ এভাবে লাগামছাড়া হয়ে পড়ার জন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ১-১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং জেলায় ১১৭৪ জন সংক্রামিত হয়েছেন। মালদহে সংক্রামিত হয়েছেন ২৩০০ জন। গত ডিসেম্বর মাসে সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছনোর পর জানুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে নেমে এসেছিল। ফেব্রুয়ারিতে উত্তরবঙ্গের কোথাও করোনা সংক্রামিত রোগী ছিল না। কিন্তু, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতারা যেভাবে মাস্ক ছাড়া মানুষকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন, তার থেকেই সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে।
এদিকে, এদিন শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদায়ী পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, মানবিকতার কারণে অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য নিজস্ব উদ্যোগে বাড়িতে একটি হেল্পলাইন চালু করেছি। যেকোনও মানুষ করোনা সংক্রান্ত ব্যাপারে ৯৬৪৭৪৯৬৪৭৫ এবং ৮১৪৫৭১৯০৯৭ নম্বরে ফোন করলে আমাদের পাশে পাবে। এদিকে সরকারি হাসপাতালে যেকোনও রোগের চিকিৎসার জন্য করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বহু মানুষ সাধারণ রোগের চিকিৎসা করাতে এসে হয়রান হচ্ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে ওএসডি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দেখতে বলা হয়েছে। সোমবার দার্জিলিং জেলায় নতুন করে ১৪৫ জন করোনা সংক্রামিত হন। এরমধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডে সংক্রামিত হয়েছেন ৮০ জন। ৫৫ জন রয়েছেন শিলিগুড়ি বিধানসভা এলাকার ৩৩টি ওয়ার্ডে। মাটিগাড়ায় এদিন নতুন করে ৪২ জন সংক্রামিত হন। নকশালবাড়ি ব্লকে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ১৯ জন।