বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে ব্রহ্মপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র সাহা, সকুমার রায়রা বলেন, ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু আমাদের সমস্যা মেটে না। আমরা দীর্ঘ বছর ধরে চরম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছি। বাম আমল থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তৃণমূলের আমলেও পাকা সেতু পেলাম না। এবার যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের কাছে অনুরোধ এখানে যেন একটি পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। দুখিনী রায় নামে এক চাষি বলেন, বর্ষার দিনে ফসল নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এখানে ১০ বছর আগে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছিল। আজও সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি মনে পড়ে। এখানে পাকা সেতু হয়ে গেলে আমরা খুবই উপকৃত হব। আমরা সব দলের প্রার্থীদের কাছে এই দাবি রাখছি।
সাফানগর ও রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝে আত্রেয়ী নদী বয়ে গিয়েছে। সেখান দিয়ে বর্ষাকালে নৌকা এবং বছরের অন্যান্য দিনে বাঁশের সাঁকোতে মানুষজন পারাপর করে। সাফানগরের আজাতপুর ঘাট থেকে ওপারে ব্রহ্মপুর, দাসপাড়া, মধ্যপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রাম রয়েছে। সেই সব গ্রামের বাসিন্দা সকাল হলেই সাফানগরে ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, চিকিৎসক, বাজার, হাট সহ বিভিন্ন কাজে আসেন। এদিকে নৌকা বা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বাসিন্দাদের।
কুমারগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল বলেন, গ্রামবাসীদের দাবিটি খুবই ন্যায্য। ওখানে পাকা সেতু হয়ে গেলে বহু মানুষ উপকৃত হবে। ভোট পেরলেই সেখানে কাজ করা হবে। বিজেপির প্রার্থী মানস চৌধুরী বলেন, কুমারগঞ্জ অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এখানে রাস্তাঘাট ও পাকা সেতুর অনেক অভাব রয়েছে। তৃণমূল সরকার বিগত দিনে কুমারগঞ্জের জন্য কোনও কাজ করেনি। আমরা জানি তৃণমূল আর সেই সেতু করতে পারবে না। তাই আমরা ক্ষমতায় এসেই সেতুটি তৈরি করব। কংগ্রেস প্রার্থী নার্গিস বানু চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের যে সমস্ত সমস্যা ছিল তা সমাধান করা উচিত ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার তা পারেনি। আমি যদি এখানে জয়লাভ করতে পারি তাহলে অবশ্যই এখানে পাকা সেতু তৈরি করতে উদ্যোগ নেব।
প্রসঙ্গত, আজাতপুরের ওই নদীর ঘাটে ২০১০ সাল নাগাদ বর্ষার সময় ভরা আত্রেয়ী নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। এবং ৩৫-৪০ জন সাঁতরে কোনওরকম সাঁতরে প্রাণ বাঁচান। সেই ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে তৎকালীন বাম সরকার। বাম আমলেই পাকা সেতু তৈরির দাবি জোরাল হয়। তবে আজও একই ভাবে সমস্যায় ভুগে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। তাই ভোটের আগে পাকা সেতুর দাবি জোরাল হয়েছে।