কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আমার আদি বাড়ি বালুরঘাটের হোসেনপুর এলাকা হলেও আমার বাড়িটি তপন বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। আমি দীর্ঘদিন তপন ধাইনগর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেছি। যে কারণে আমি তপনের ওলিগলির সঙ্গে খুবই ভালোভাবে পরিচিত। বর্তমানে বালুরঘাটের ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলেও তপনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছি। বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে বিজেপির নতুন মুখ হলেও আমি দীর্ঘ সময় ধরে তপনে বিজেপির হয়ে মিটিং, মিছিল, আন্দোলন সহ নানাভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই আমার কাছে তপনে বিধানসভা ভোটে লড়াই করাটা খুব কঠিন নয়।
তপনে পানীয় জলের সমস্যার পাশাপাশি রাস্তাঘাট আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আজও তপনে বহু রাস্তা কাঁচাই রয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনাতেও নাম বদলে তৃণমূল সরকার বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা করেছে। তৃণমূল সরকারের আমলের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনওভাবেই উন্নয়ন হয়নি। যার ফলে তপনের মানুষের মধ্যে একটা ক্ষোভ রয়েছে। রাস্তা পানীয় জল নিয়ে বাধ্য হয়ে প্রায় প্রতিদিনই তপনের মানুষ বিক্ষোভ আন্দোলন করে। তপনের স্কুলে যাওয়ার সুবাদে দেখতাম তপনের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ কাঁটাতারের ওপারের জমিতে চাষ করতে যায়। ফলে তাঁরা অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হন।
তপন মূলত একটি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। এখানে প্রচুর আদিবাসী মানুষ রয়েছে। কিন্তু সব থেকে খারাপ লাগে যে রাজ্য সরকার কখনও আদিবাসীদের প্রতি কিছু করেনি। আদিবাসীরা শিল্পী ভাতা চাইলেও পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবক্ষেত্রেই শুধু তোষণের রাজনীতি করেন। যেখানে নিজের ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে শুধুমাত্র সেই সব দিকগুলি নিয়েই ভাবেন।
কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে তো মুখ্যমন্ত্রী বেকারদের শেষ করে দিয়েছেন। ১০ বছরে রাজ্যে কোনও চাকরি নেই। যে চাকরি হয়েছে, তা টাকার বিনিময়ে বা বাবা কাকার প্রভাবে। এছাড়াও কোথাও স্থায়ী পোস্টে চাকরি হয়নি। অর্ধেকের অর্ধেক বেতন দিয়ে অস্থায়ী পোস্টগুলিতে নিয়োগ করেছে। এদিকে ১০ বছর ধরে এসএসটি, টেট, প্রাইমারি সব বন্ধ হয়েছে। প্রতি বছর প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়াশোনা শেষ করছে। কিন্তু কারও চাকরি হচ্ছে না। বেকাররা সব জানেন। তাই পশ্চিমবঙ্গের বেকাররা এই ভোটে জবাব দেবেন। যুব সমাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেই রয়েছে। একমাত্র বিজেপি ক্ষমতায় এলেই এই চাকরিগুলি পুনরায় ফিরে আসবে।
তৃণমূল যেমন ১০ বছরে এই রাজ্যের হাল ফেরাতে পারেনি তেমনি বামেরাও ৩৪ বছরে কিছুই করেনি। তপন বিধানসভা কেন্দ্রে বামেরাও প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু আমি বামেদের কোনওভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করি না। তৃণমূলও প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু সেই প্রার্থীকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না। কারণ এবারের নির্বাচনে তপনের মানুষ নিঃসন্দেহে বিজেপির দিকেই থাকবে।