পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০০৯ সালে গোয়ালপোখর উপ উপনির্বাচনে প্রথমবার কংগ্রেসের প্রার্থী হই। সেইবার অবশ্য জয়ী হতে পারিনি। ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটেই আবার প্রার্থী হই এবং জয়ী হই। সেইবার রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার হয়। এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি দলবদল করি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধ্যায় আমার প্রতি আস্থা রাখেন, আমাকে মন্ত্রী করেন। মন্ত্রী হয়ে নিজের এলাকার পাশাপাশি জেলার অন্যন্য কেন্দ্রগুলিতেও উন্নয়নের কাজ করেছি। দিদি আমার প্রতি ভরসা রেখেন। স্টার প্রচারক হিসেবে আমি গৌড়বঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রের দায়িত্বে আছি। মালদহে আমরা খুব ভালো ফল করব। জেলার হেমতাবাদ কেন্দ্রের দায়িত্বে আমি। সেখানেও আমরা জয়ী হব। নিজের কেন্দ্রে প্রচারের পাশাপাশি অন্যকেন্দ্রে প্রচারে যাচ্ছি। এলাকার মানুষ, দলের কর্মীদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমি এলাকায় কম সময় দিলেও মানুষ জোড়াফুল প্রতীকেই ভোট দেবে।
গোয়ালপোখরে বাম-কংগ্রেস জোট কিংবা বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর হতে পারবে না। বিজেপি হচ্ছে ঘর ভাঙানোর দল। ওরা আমার বিরুদ্ধে আমার ভাইকে প্রার্থী করেছে। এতে আমি মর্মাহত হয়েছি। কিন্তু, রাজনৈতিক লড়াইয়ে জায়গা ছাড়া হবে না। মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে না। সাম্প্রদায়িক দলকে মানুষ গ্রহণ করবে না। কংগ্রেস প্রার্থীকে এলাকার মানুষ ভালো করেই চিনেছে। তিনি কিছুদিন অগেই তৃণমূলে ছিলেন। বিরোধী দল থেকে আমাদের দলে অনেক অনেক নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সফিউর রহমান সম্প্রতি আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। সমস্ত পঞ্চায়েত আমাদের দখলে আছে। বুথ থেকে অঞ্চল, ব্লক স্তর পর্যন্ত আমাদের সংগঠন আছে।
এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাই পাকা হয়েছে। অনেক জায়গায় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। পাঞ্জিপাড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আইটিআই করা হয়েছে। গোয়াগাঁও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠাম উন্নত করা হয়েছে। এলাকায় দমকল কেন্দ্র ছিল না। আগুন লাগলে ইসলামপুর কিংবা ডালখোলা থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসতে অনেক অনেক সময় লাগত। ততক্ষণে আগুনে সব শেষ যেত। ফলে স্থানীয়দের দাবি ছিল দমকল কেন্দ্র করা হোক। গতিতে দমকল কেন্দ্র করা হয়েছে। এরপরেও অনেক কাজ এখনও বাকি আছে। এবার জয়ী হয়ে সেগুলি করব। উচ্চশিক্ষার প্রসারে এলাকায় একটি কলেজের দাবি আছে। আমি চেষ্টাও করেছিলাম কিন্তু জমি পাওয়া যায়নি। এবার জয়ী হয়ে কলেজের জন্য অবারও চেষ্টা করব। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করব।