বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এবং ফাঁসিদেওয়া, এই দু’টি কেন্দ্রের অনেকটা জায়গা ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া। অন্যদিকে, ফাঁসিদেওয়ার অনেকটা জায়গাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। যার বেশকিছু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। তাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে পানিট্যাঙ্কিতে ভারত-নেপাল সীমান্ত পথ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় সিল করা হয়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের টহল বাড়ানো হয়। যাতে কোনওভাবেই বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা এসে ভোটের দিন অশান্তি বা নাশকতা করতে না পারে।
সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় শিলিগুড়ি মহকুমার পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে বহু ভারতীয় নাগরিক নেপালে আটকে পড়েছেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে বলে জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয়দের ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নেপাল থেকে ভারতে আসতে দেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিশন ও এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে। ভারত-নেপাল সীমান্তে সারাবছর এসএসবির নজরদারি রাখে। এছাড়া চিকিৎসা কিংবা বিমানযাত্রার জরুরি প্রয়োজনে প্রমাণ দেখালেও ভারতে আসার ছাড় মেলে। তবে ভারতে থাকা নেপালের নাগরিকদের নেপালে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কিন্তু, এই সীমান্তে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এসএসবি জওয়ানরা বাড়তি টহলও দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি এই জেলা ঘেঁষে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার রয়েছে। সেই আন্তঃরাজ্য সীমানাও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নাকা চেকিং। কেননা, সম্প্রতি শিলিগুড়ি ও তার লাগোয়া এলাকা থেকে পরপর আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক উদ্ধার হয়েছে। বোমা, বন্দুক বিহার থেকেই আনা হয়েছিল বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। সেইমতো ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই শিলিগুড়ির ঢোকা ও বেরনোর পথগুলিতে জোরদার নাকা চেকিং শুরু হয়। বিহার থেকে অস্ত্র ও দুষ্কৃতীরা ঢুকতে পারে, এমন সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বিহার ও অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা বাস ও অন্যান্য গাড়ির উপর পুলিস প্রশাসনের প্রথম থেকেই নজর ছিল। ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে সেই নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথগুলি ছাড়াও শহরের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যানবাহনে তল্লাশি চলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের পুলিস পাড়ায় পাড়ায় রুট মার্চ করছে। বুধবার রাত থেকেই শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিংয়ের নেতৃত্বে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা শহরে আত্মগোপন করে থাকতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে বিশেষ তল্লাশি জারি। সেই মতো এদিন সকাল থেকে দেখা যায় আশিঘর মোড়, সালুগাড়া ও দার্জিলিং মোড়ে গাড়ি থামিয়ে পুলিস ও বাহিনীর জওয়ানরা তল্লাশি করছেন।