পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এবিষয়ে মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শ্রীদামবাবু বলেন, বিজেপির কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুত্সা রটাচ্ছিল। এলাকায় উস্কানিমূলক প্ররোচনা দিচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করায় বিজেপির হার্মাদ বাহিনী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাঙচুর করে পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। জুয়ার ঠেকের অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে ওরা এ ধরনের অপপ্রচার করে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করছে। এবিষয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের মদতে এলাকায় বেআইনি কার্যকলাপ চলছে। তারই প্রতিবাদ করায় আমাদের কার্যকর্তাদের মারা হয়েছে। দু’জনের মাথা ফেটে গিয়েছে। অনেকেই জখম হয়েছেন। ভোটের আগে কীভাবে সন্ত্রাস চালাতে হয়, তৃণমূল তা প্রমাণ করে দিল।
বিজেপির যুব মোর্চার স্থানীয় নেতা শিবু কর্মকার বলেন, এলাকার প্রাক্তন উপপ্রধানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের কার্যকর্তারা চড়কের মেলা থেকে ফিরছিলেন। সেসময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঘিরে ধরে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মালদহ থানার এক পুলিসকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। একটি ছোট গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে। পুরাতন মালদহের নলডুবিতে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস— তিনটি দলেরই প্রভাব রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে ওই সংসদ কংগ্রেস দখল করেছিল। পরে দল পরিবর্তনের মাধ্যমে সংসদটি তৃণমূলের দখলে আসে। সম্প্রতি এলাকায় বিজেপির ভালো প্রভাব তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নানা কুৎসা রটাচ্ছিলেন। এনিয়ে এলাকার প্রাক্তন উপপ্রধানের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। প্রাক্তন উপপ্রধানের নামে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাউর করতে থাকেন যে, তাঁর মদতেই জুয়া, মাদকের কারবার চলছে। স্বাভাবিকভাবেই একেঅপরের বিরুদ্ধে কুৎসা গভীর রাতে সংঘর্ষের রূপ নেয়। এতে অনেকেই জখম হন। ঘটনায় বিশাল মণ্ডল ও বিষ্ণু চৌহান নামে দুই বিজেপি সমর্থকের মাথা ফেটে যায়। ঘটনার পর থেকে এলাকার পরিবেশ থমথমে।