বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১১ সালে নবগঠিত এই বিধানসভা কেন্দ্রে পরপর দু’বার জিতেছেন সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সাবিনা। তবে দু’বারই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী। এই প্রথমবার লড়ছেন ঘাসফুল প্রতীকে। একসময় মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও রাজ্যের শ্রমদপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো সাবিনার দাবি, এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লড়াই করায় নির্বাচনী যুদ্ধ বরং আগের চেয়ে অনেকটাই সোজা হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক গ্রামে প্রচারে গিয়ে সাবিনা তুলে ধরছেন বিদ্যুৎ সাবস্টেশন তৈরির কথা। মোথাবাড়ির বাসিন্দারা লোডশেডিংয়ে একসময় নাজেহাল হতেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, একটি সাবস্টেশন তৈরির। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে বারবার কীভাবে সরব হয়েছিলেন তিনি, ভোটারদের কাছে সেকথাও তিনি বলছেন। ভোটারদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের ঘরের মেয়ে। তাই আপনাদের সমস্যা বুঝে সাবস্টেশন করে দিয়েছেন।
শুধু বিদ্যুৎ সমস্যাই নয়, বাঙিটোলা গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টিও উঠে আসছে সাবিনা ইয়াসমিনের প্রচারে। তিনি বলেন, একসময় এই ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এখন একটি পুরোদস্তুর গ্রামীণ হাসপাতাল। বেডের সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে ৩৫ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরও নতুন ২৫টি বেডের দাবি করেছিলেন মোথাবাড়ির বাসিন্দারা। সেই দাবিতেও রাজ্য সরকার নির্বাচন ঘোষণার আগেই সিলমোহর দিয়েছে বলে বাসিন্দাদের কাছে বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে মোথাবাড়ি বিধানসভার অগ্রগতিও উঠে আসছে সাবিনা ইয়াসমিনের প্রচারে। তিনি বলছেন, এই বিধানসভা কেন্দ্রে যথেষ্ট সংখ্যায় বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পাশাপাশি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র ও মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
একইসঙ্গে মোথাবাড়ি পুলিস ফাঁড়িটি যে তৃণমূলের আমলেই পূর্ণাঙ্গ থানায় উন্নীত হয়েছে তাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে কি না তাও জেনে নিচ্ছেন তিনি। তবে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ভিন্নমত কংগ্রেস প্রার্থী দুলাল শেখ। দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলানো দুলাল বলছেন, কাজ বেশিরভাগই হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে।