পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে ২৬ এপ্রিল মদন মোহন মন্দিরে কন্দর্প পুজো ও পরেরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল মদন মোহনের নৌকাবাইচ হওয়ার কথা। দীর্ঘকাল ধরে কোচবিহারের সাগরদিঘিতে নৌকাবাইচ হয়ে আসছে। তা দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কিন্তু, গতবছর করোনার কারণে নৌকাবাইচ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার তা ফের করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে এখনও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মদন মোহন মন্দিরের রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, বুধবার নিয়ম মেনে মন্দিরে ঝরাপুজো করা হবে। যাতে ভক্তবৃন্দ মদন মোহনকে ভালোভাবে দর্শন করতে পারেন তারজন্য পয়লা বৈশাখ তিনি মন্দিরের বারান্দায় অধিষ্ঠান করবেন। মন্দিরে কাম দেবের পুজো হয়। ওই পুজোয় ভাঙ, নাড়ু ইত্যাদির ভোগ উৎসর্গ করা হয়।
মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, গতবছর সাগরদিঘিতে নৌকাবাইচ হয়নি। বিশেষ কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হলে এবার পুরনো রীতি মেনে নৌকাবাইচ হবে।
কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন মন্দিরের সামনেই রয়েছে তুলসী গাছ। সেখানেই চৈত্র সংক্রান্তির দিন ঝরাপুজো হয়। এদিকে আনন্দময়ী মায়ের প্রতিষ্ঠা দিবস তিথি উপলক্ষে ওই দিনই মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে পায়রা বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এছাড়াও মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। পয়লা বৈশাখের দিন মদন মোহন সকালবেলা স্নান সেরে মন্দিরের বারান্দায় আসবেন। রাত পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকবেন। চৈত্র সংক্রান্তি, নববর্ষ উপলক্ষে মন্দিরে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। সবকিছু যাতে ঠিকঠাক সম্পন্ন হয় তারজন্য মন্দির কর্তৃপক্ষ সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।