কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রার্থীকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে ইটের রাস্তা দিয়ে গ্রামের ভিতরে নিয়ে যায়। হঠাৎ প্রার্থী বলে ওঠেন, ফণীদা সামনে এসো। গ্রামে ঢুকতেই এক বয়স্ক ভদ্রলোককে দেখতে পেয়ে নমস্কার জানান প্রার্থী। কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করে প্রার্থী বলেন, এবারে আমি বিজেপি থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছি, নাম নীলাঞ্জন রায়, আশীর্বাদ করবেন। বয়স্ক ভদ্রলোক বলেন, বাবা আমাদের নদীর পাড়ে বাড়ি, বন্যা হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। গ্রামে রাস্তা নেই। নীলাঞ্জনবাবু তাঁকে আশ্বাস দিয়ে এগিয়ে যান। গ্রামের ভিতরে প্রার্থী ঢুকতেই বাসিন্দারা ঘিরে ধরেন। তাঁদের কথা শুনে টাঙ্গন নদীতে ভাঙন পরিস্থিতি দেখেন। এরপর তিনি বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করেন। ইতিমধ্যেই সোনা পাল যিনি সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকেছেন, তিনি পৌঁছে যান তাঁর দলবল নিয়ে। সোনা, ফণীদাকে সঙ্গে নিয়ে হরিপুর গ্রামে প্রচার শেষে এবারে প্রার্থী পৌঁছন পরের পাড়া ছোট কড়ই গ্রামে। সরু মাটির রাস্তা দেখে প্রার্থী কর্মীদের বলে ওঠেন, এই কী দিদির উন্নয়ন, প্রার্থীর কনভয় ২ কিলোমিটার মাটির রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছয় রাজবংশী এলাকায়।
প্রথমে তিনি গ্রামের গোবিন্দ মন্দিরে প্রণাম করেন। মহিলারা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। হেঁটে প্রার্থী মহিলাদের দিকে হাতজোড় করে পদ্মফুল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। পাশ থেকে এক মহিলা বলে উঠলেন, ভোট কীসের, আমাদের কি দাম নেই? প্রার্থী বললেন আপনাদের অনেক সমস্যা আমি জানি। রাস্তা নেই, পানীয় জলের ব্যবস্থা ভালো নয়, পথবাতি নেই। একবারের জন্য আমাকে সুযোগ দিয়ে দেখুন. বিজেপি এখনও রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি। একবার সুযোগ দিন, মানুষের হয়ে কাজ করব। মধ্যবয়স্কা রানু সরকার মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে বলেন, আমাদের রাস্তা নেই, গ্রামে জলের অকাল। সবাইকে জানা আছে, গরিবের কথা কেউ ভাবে না।
এরপর ছোট কড়ই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মাঠে বিজেপি কর্মীরা আগে থেকেই জমায়েত করে ছিলেন। প্রার্থী নীলাঞ্জনবাবু গ্রামের মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বসলেন। গ্রামের প্রচুর মহিলা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক ফণী মাহাত বলেন, বুথ সভাপতি কোথায়? লোক এতো কম, কাউকে খবর দাওনি? বুথ সভাপতির উত্তর, দাদা দুপুর এখন ২টো বাজে, সবাই খাওয়া দাওয়া করছে। এরপরে পাশের গ্রাম বোড়াদিঘির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। গ্রামের অত্যন্ত খারাপ মাটির রাস্তা হওয়ায় কর্মীর বাইকে চেপে প্রার্থী গ্রামের ভিতরে যান। ফণীবাবু বলেন, চলুন রাধাগোবিন্দ মন্দিরে অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা খিচুড়ি প্রসাদ খান। তারপর সিওল ও এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সন্ধ্যার মধ্যে প্রচার সেরে রাতে বুনিয়াদপুর শহরে বিজেপি কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বসেন।