ছাত্র জীবন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত। কলেজে ছাত্র রাজনীতি করেছি জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনে। সত্তরের দশক থেকে কংগ্রেসের সৈনিক। নানা চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে এখনও কংগ্রেসের আদর্শের প্রতি অবিচল রয়েছি। কংগ্রেসের বিভিন্ন সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছি। ২০১৯ সালে মালদহ জেলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছি। সংসদীয় রাজনীতিতে যোগ দিই আশি’র দশকের গোড়ায়। মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম ১৯৮৩সালে। তারপর ১৯৯৩ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি র দায়িত্ব পালন করি। এরপর ১৯৯৮ সালে সভাপতির পদ মহিলা সংরক্ষিত থাকায় সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। ২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বামফ্রন্টের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার মৈত্রকে পরাজিত করে বিধায়ক নির্বাচিত হই। আবার ২০০৮সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়ে মালদহ জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর দায়িত্ব পাই। ২০১৬ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের  প্রার্থী তজমুল হোসেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হই। আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বিধায়ক হিসেবে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছি। এলাকার রাস্তাঘাট, কালভার্ট, সেতু আমার উদ্যোগে করা হয়েছে। এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে কুমেদপুরের সাদলিচক এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা আমার পরিকল্পনায় রয়েছে। ওই এলাকার লোক জমি দিতে প্রস্তুত আছেন। তার সমস্ত কাগজপত্র তৈরি আছে শুধু রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে কাজ হচ্ছে না। এলাকার সর্বত্র আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। শিক্ষা ক্ষেত্রে হরিশ্চন্দ্রপুর পিছিয়ে রয়েছে। সেই জায়গা থেকে উন্নত করতে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে একটি ডিগ্রি কলেজ স্থাপন করা। ফুলহরের জলকে সেচের জন্য ব্যবহার করা যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের  প্রার্থী তজমুল হোসেন। তিনি ২০১৬সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। সে বছর তৃণমূলের প্রতীকে লড়াই করে তিনি আমার কাছে পরাজিত হন। এলাকার মানুষ ব্যক্তি স্বার্থে এই দলবদলকে মেনে নেননি। তাই এবারের নির্বাচনেও তাঁর রাজনৈতিক সততা নিয়ে জনগণ সন্দিহান। হরিশ্চন্দ্রপুরে কংগ্রেস ও বামেদের সংগঠন বরাবরই মজবুত। এই নির্বাচনে বাম কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চা গঠন করে যৌথভাবে লড়াই করছে নীতি আদর্শহীন তৃণমূল ও সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে আমি লড়াই করছি। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুরের মানুষের ব্যাপক সমর্থন আমরা পাচ্ছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট লুট ও বিজেপির বিভাজনের রাজনীতিতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তাই শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজ্যের মানুষ বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত মোর্চাকেই সমর্থন করছে। আমাদের মোর্চার সরকার গঠন হলে হরিশ্চন্দ্রপুরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।