গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত চারটি পরিবারের মোট ২০ জন সদস্যের সঙ্গে নেত্রী কথা বলবেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পরিবারের সদস্যদের নামের তালিকা এদিন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে হেলিপ্যাড করা হয়েছে, তার পাশেই একটি ছোট মঞ্চ বাঁধার কাজ রাতের মধ্যে শেষ হবে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলবেন।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচি বিধানসভার আমতলির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চারজন ভোটার। ওই ঘটনার দিনই মমতা ঘোষণা করেছিলেন, ১১ এপ্রিল তিনি শীতলকুচি আসবেন। কিন্তু, নির্বাচন কমিশন তিনদিন জেলায় বাইরের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় তিনি কোচবিহারে আসতে পারেননি। মঙ্গলবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। তাই আজ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে হেলিকপ্টারে তাঁর নামার কথা রয়েছে। শুধু নিহতদের পরিবার নয়, গোটা আমতলি গ্রাম মমতাকে সেই দিনের ঘটনার কথা জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা ছিল। মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ এ জন্য বানানো হয়েছিল। যেহেতু ওই বুথে পুনর্নির্বাচন আছে, তাই নির্বাচনী নিয়মবিধির কারণে সেখানে তিনি যেতে পারবেন না।
মাথাভাঙা শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালের সুপারের চেম্বারে নিরাপত্তা আধিকারিক সহ প্রশাসন, পুলিস আধিকারিক ও মাথাভাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামাণিক মিটিং করেন। এদিনই হেলিপ্যাডের জায়গা বাঁশ দিয়ে বাউন্ডারি করে দেওয়া হয়েছে। দুপুরেই মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে যায়। লক্ষপতিবাবু বলেন, শীতলকুচি বিধানসভার জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলি বুথে ভোটের দিন বিনা প্ররোচনায় চারজন যুবককে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি করে নৃশংসভাবে মেরেছে। নিহত সেই চারজনের পরিবারের সঙ্গে নেত্রী কথা বলার জন্য বুধবার সকালে মাথাভাঙায় আসছেন। তাঁর আসার খবরে আমরা মুখিয়ে আছি। প্রশাসন হেলিপ্যাড তৈরি করে দিয়েছে। মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। পরিবারের সদস্যদের নামের তালিকা তৈরি করে এদিনই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছি। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
জোরপাটকির বাসিন্দা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক নেতা আলিজার রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়মের কারণে আমতলিতে তাঁর যাওয়া সম্ভব নয়। হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। বিনা কারণে সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারটি তরতাজা প্রাণ চলে গিয়েছে। ওই ঘটনার কথা আমরা ভুলতে পারব না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে সেদিনের ঘটনার কথা জানাব। আমরা ওই ঘটনায় যুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই, সেই দাবিও তাঁর কাছে রাখব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেদিনের হত্যালীলার কথা জানানোর জন্য মুখিয়ে আছেন বুথের ভোটাররাও। সেদিনের ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত রয়েছেন, তাঁদেরও যাতে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়, সেই দাবিও আমরা করব।