রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
অধীর চৌধুরী বলেন, দিদি ধর্নায় বসে নাটক না করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর উচিত, যাঁরা ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বারবার শীতলকুচিকাণ্ড ঘটানোর ভয় দেখাচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে জেলে ভরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে ভালোবাসলে, এখনই সেই সমস্ত বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকব।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করতে কুমারগঞ্জের চাঁদগঞ্জে নামেন অধীরবাবু। যদিও হেলিকপ্টার দেখতে ভিড় জমলেও সভায় তেমন জনসমাগম হয়নি। বলতে গেলে চৈত্র শেষের চাঁদিফাটা রোদে সভাস্থলের বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকাই ছিল। তারমধ্যে মঞ্চে অধীরবাবু উঠলে সংযুক্ত মোর্চার বড় শরিক সিপিএম নেতা নারায়ণ বিশ্বাস ও আরএসপি’র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বক্তব্য রাখা নিয়ে প্রকাশ্যেই জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে কোন্দল বেঁধে যায়। যদিও পরে অধীরবাবুর হস্তক্ষেপে সকলেই সংক্ষেপে তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
অধীরবাবু মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন। তেল ও রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল দুই সরকারকেই দায়ী করেন। বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, দিদি নন্দীগ্রামে হারছেন। অথচ তিনিই এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসে ১০ বছরে বিজেপিকে লাভ পাইয়ে দিতে কংগ্রেস ও বামেদের গ্রাস করেছেন। এখন হারতে চলেছেন বলে বাঁচতে সোনিয়া গান্ধীর পায়ে পড়েছেন। এ প্রসঙ্গেই তিনি এনআরসি ইস্যুতে অসমের উদাহরণ তুলে ধরে এলাকার মানুষকে সচেতন হয়ে নিজেদের ভোটদানের কথা বলেন।
অধীর বলেন, কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পান না। অথচ কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে কৃষকদের ফসলের নায্য দামের পাশাপাশি উৎসাহভাতা দেওয়া হয়। এবার রাজ্যে ক্ষমতায় এলে আমরা কৃষকদের উৎসাহ ভাতা দেব। আধ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সভায় বক্তব্য রেখে তিনি ফের হেলিকপ্টারে রায়গঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
অন্যদিকে, এদিনই অধীর চৌধুরী রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্তর সমর্থনে জনসভা করেন। এদিন দুপুরে রায়গঞ্জের উদয়পুরে অবস্থিত খেলার মাঠে আয়োজিত এই সভায় অধীরবাবু বলেন, শীতলকুচির মতো মর্মান্তিক ঘটনা নিয়েও রাজ্যে রাজনীতি চলছে। অনেকেই অকথা কুকথা বলছেন। যা একেবারেই অনভিপ্রেত। ওই ঘটনার পর তৃণমূল নেত্রী যেমন নাটক করছেন, তেমনই বীরত্বের আস্ফালন করছেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা নানারকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করে নির্বাচনের মতো গণতন্ত্রের উৎসবের পরিবেশকে নষ্ট করছেন। আমরা ক্ষমতায় থাকলে ওইসব বিজেপি নেতাদের জেলে ভরে দিতাম। এদিনের সভায় সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত ছাড়াও উত্তর দিনাজপুর জেলার সিপিএমের সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অপূর্ব পাল সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। নিজস্ব চিত্র