কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে বিজেপি প্রার্থী গোপাল সাহা বলেন, আমার স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পত্তির হিসেব দাখিল করেছি। তবে কত টাকা রয়েছে তা আমার মনে নেই। সব হিসেব নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা আকারে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থীর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও তাঁর নির্বাচনী প্রস্তাবক মনতোষ সাহা বলেন, প্রার্থী হলফনামায় যে তথ্য দাখিল করেছেন তাতে প্রকৃত তথ্যই দেওয়া রয়েছে। কোন প্রার্থী কত কোটি টাকার মালিক, তা বড় কথা নয়। মানুষ উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলের পাশে রয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণা হলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
হলফনামা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মালদহ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উজ্জ্বল চৌধুরী কোটিপতি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরাতন মালদহ থেকে বিজেপির টিকিটে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ঠিক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। প্রার্থী হয়ে উজ্জ্বলবাবু কমিশনে যে হলফনামা দাখিল করেছেন, তাতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ সাড়ে চার কোটি টাকারও বেশি। ২০১৯ -২০ আর্থিক বর্ষে তাঁর আয় প্রায় ২৬ লাখ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীর আয় ১৭ লাখ টাকা। জমি, বাড়ি, গাড়ি, ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স মিলিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তি বাকি প্রার্থীদের থেকে অনেক বেশি। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী গোপাল সাহার মোট সম্পত্তির পরিমাণও কম নয়। তাঁর পেশ করা হলফনামা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে তাঁর হাতে রয়েছে প্রায় সাড়ে বারো লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর হাতে রয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে গোপালবাবুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার বেশি।
তুলনায় বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ভূপেন্দ্রনাথ হালদারের (অর্জুন) সম্পত্তি অনেকটাই কম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে তাঁর আয় চার লাখ টাকার বেশি ছিল। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ পঞ্চান্ন লাখ টাকার বেশি। এই কেন্দ্রে লড়াইয়ে রয়েছেন নারায়ণপুরের বাসিন্দা সুজিত মৌলিক, তিনি নির্দল প্রার্থী। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর মোট সম্পত্তি প্রায় দু’লক্ষ টাকা। দেখা যাচ্ছে, সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই বছর বছর বেড়েছে সম্পত্তির পরিমাণ।