পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আমাদের জেলায় মোট ৪২৩০টি বুথ রয়েছে। প্রতি দফায় প্রায় ২১০০ বুথে ভোটগ্রহণ হবে। দুই দফাতেই ১২০ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিসের ৩০০০ কর্মীও ভোটের দিনগুলিতে মোতায়েন থাকবেন। আমাদের জেলায় কর্মী-আধিকারিক মিলিয়ে ১৪০০ পুলিস রয়েছে। বাকি ১৬০০ পুলিস ভিন জেলা থেকে আসবে। যেসব জেলায় ভোট হয়ে যাচ্ছে, মূলত সেইসব জেলা থেকে পুলিস কর্মীদের মালদহে আনা হবে। আমরা সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। ভোটের দিন কোনওভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুলিস কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তারজন্য যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদহ স্পর্শকাতর জেলা হিসেবেই চিহ্নিত। এ জেলায় রাজনৈতিক হিংসা তুলনামূলকভাবে কম। তবে জালনোট, মাদক, গোরুপাচারে মালদহ কার্যত শীর্ষে রয়েছে। একসময় পাচারকারীরা মালদহকে নিজেদের মুক্তাঞ্চল বানিয়েছিল। গত কয়েক বছরে অবশ্য পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির ধারাবাহিক অভিযান এবং জেলা পুলিসের নিয়মিত নজরদারির জেরে পাচারকারীরা বর্তমানে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। তবে মাফিয়াদের পুরোপুরি এখনও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। মাদক, অস্ত্র ও জালনোটের কারবারিদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। কোনও কোনও জনপ্রতিনিধি পাচারে যুক্ত বলেও অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। কালিয়াচকের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিস গ্রেপ্তারও করেছিল। অভিযোগ, পছন্দের প্রার্থীকে জেতাতে মাফিয়ারা টাকা ঢালে। প্রার্থীর প্রচারে গাড়ি সরবরাহ থেকে শুরু করে দলের ঝান্ডা কেনার টাকা মাফিয়ারা দিয়ে থাকে। ভোটের দিন বুথ দখলেও মাফিয়াদের প্রত্যক্ষ মদত থাকে। ভোটের সময় কড়াকড়ির জেরে পাচার বন্ধ থাকে। ওইসময় মাফিয়ারা নিজ নিজ নেটওয়ার্কের লোকজনকে ভোট মেশিনারি হিসেবে কাজে লাগায়। তারাই নির্বাচনের দিন বুথে বুথে অশান্তি পাকায় বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এবার ভোটের দিন মালদহে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি দেখা যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকবে। প্রতিটি থানাকে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভোটের আগের দিন রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের গোয়েন্দা ‘ইনপুট’ যাতে আধিকারিকরা নেন তা বলা হয়েছে। কোনও এলাকায় গণ্ডগোলের আশঙ্কা থাকলে তা দ্রুত জেলা পুলিসের নজর আনার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটের আগের দিন থেকেই পর্যাপ্ত বাহিনী আমাদের হাতে থাকছে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা আমাদের পক্ষে সুবিধা হবে। ফাইল চিত্র