বিজয় দাস, তুফানগঞ্জ : শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই। কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে পিছপা হলেন না। তাই প্রতিবেশী পরিচিত এক যুবকের কোলে চেপে বুথে এসে ভোট দিলেন ১০০’র দোরগোড়ার আসা আশালতাদেবী। তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বারোকোদালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লাঙলগ্রামের একটি বুথে এসে শনিবার তিনি নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন। বয়সজনিত কারণে চলাফেরা করতে অক্ষম ওই বৃদ্ধা বুথ এসেই ভোট দেন। বাঁ হাতের তর্জনিতে ভোটের কালি দেখিয়ে বৃদ্ধা বলেন, ভোট দিয়ে এলাম। 
ওই ভোট কেন্দ্র সহ আশপাশের আরও কয়েকটি বুথে শনিবার বেশকিছু বৃদ্ধবৃদ্ধা পরিবারের সদস্যদের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট কেন্দ্রে হাজির হন। বয়স্কদের বুথে ঢুকতে-বেরতে সহযোগিতা করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। যেখানে এবার দেশের নির্বাচন কমিশন ৮০ বছর কিংবা তার বেশি বয়স্ক ভোটারদের বাড়িতেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে সেখানে চলতে ফিরতে অক্ষম হলেও কেন তাঁরা বুথ এসে ভোট দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রচারে ঘাটতি থাকার কারণেই নির্বাচন কমিশনের এত ভালো উদ্যোগ সর্বত্র সফল হল না। 
তুফানগঞ্জ মহকুমা প্রশাসনের নির্বাচন সংক্রান্ত কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দেশিকা মেনে পোস্টাল ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট নেওয়ার জন্য বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারদের চিহ্নিত করে তাঁদের সকলের বাড়িতেই যাওয়া হয়েছিল। প্রায় ৪০০০ ফর্ম বিলি করা হলেও ১০০০’র মতো ফর্ম ফেরত এসেছে। তাঁদেরই কেউ কেউ এদিন বুথে গিয়ে ভোট দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহকুমা নির্বাচন দপ্তরের ওই আধিকারিক বলেন, এমনও হতে পারে যেহেতু ব্যবস্থাটি এই প্রথমবার করা হয়েছে তাই হয়তো অনেকেই বিষয়টি বুঝতে না পেরে ওই ফর্ম ফেরত দিয়ে দিয়েছেন।