পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাডিয়ান বলেন, জেলায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি আমরা। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনা বলেন, সন্ত্রাসমুক্ত আবহে অবাধ ভোটের জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার জেলায় মোট ভোটার ২৩ লক্ষ ৪১ হাজার ১৩৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৩৮ ও মহিলা ভোটার ১১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৮২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। জেলায় ৫০ হাজারের বেশি এবার নতুন ভোটার আছেন। মোট বুথ ৩২২৯টি। শুক্রবার জেলার পাঁচটি ডিসিআরসি থেকে ভোটকর্মীরা বুথে পৌঁছন। জেলায় ১৫ হাজার ৪৯৯ জন ভোটকর্মীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। মোট ৪০৩টি মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। ভোটে লড়ছেন জেলার দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। এছাড়াও হেভিওয়েট প্রার্থী হলেন তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায়, উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, মালতী রাভারায়, মিহির গোস্বামী।
অন্যদিকে, সন্ত্রাস এড়াতে আলিপুরদুয়ারে ৯৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া থাকবে ৩ হাজার রাজ্য পুলিস। আলিপুরদুয়ার জেলায় আজ ৪২ জন প্রার্থীর ভাগ্যবন্দি হবে ইভিএমে। জেলার পাঁচটি আসনে এবার হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে নজরকাড়া আলিপুরদুয়ার আসনে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী কংগ্রেসের দেবপ্রসাদ রায়, তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে কালচিনি আসনে লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী পাশাং লামা ও বিমল গুরুং শিবির ছেড়ে আসা বিজেপির বিশাল লামা। এছাড়াও জেলার হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আছেন মাদারিহাট আসনে বিজেপির বিদায়ী বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের রাজেশ লাকড়া।
আলিপুরদুয়ারে এবার মোট ভোটার ১২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৫১ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ৬ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৬৫, পুরুষ ভোটার ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৪৩। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪৩ জন। জেলার পাঁচটি আসনে মোট ১৭২৬টি বুথের জন্য ৬৯০৪ জন ভোটকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত বুথের সংখ্যা ২৯৩টি। এ জন্য ৯৭২ জন মহিলা ভোটকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার ন’টি আসনের মধ্যে আটটিতেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। শুধু কোচবিহার উত্তর বিধানসভা আসনটি পেয়েছিল বামেরা। জেলায় বিজেপির কোনও আসন ছিল না। কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনে জেলার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি লিড পায়। জেলায় এবার ৭৭৪টি ক্রিটিক্যাল ও ২০৮টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। ১৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে। আলিপুরদুয়ারে পাঁচটির মধ্যে ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল চারটি আসন। একটি ছিল বিজেপির। আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার আগে সরঞ্জাম বুঝে নিচ্ছেন মহিলা ভোটকর্মীরা (বাঁদিকে)। কোচবিহারে ভোটকর্মীরা বুথের পথে (ডানদিকে) নিজস্ব চিত্র