পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এর পরই পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব চেষ্টা চালান যাতে নান্টু পাল তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। রবিবারের পর সোমবারও গৌতমবাবু বলেন, ওঁকে অনেক বুঝিয়েছি, কিন্তু শুনছে না। আমি চাইব নান্টু পালের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। কারণ, এবার দলবদল করলে ওঁর ভাবমূর্তি ধূলিসাৎ হবে। এর আগে নান্টু পাল চারবার দল বদলেছেন। রাজনীতিতে প্রত্যাশা সকলেরই থাকে। তবে একটি নির্বাচনে টিকিট না পাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়। পর্যটনমন্ত্রীর এই পরামর্শ বা বক্তব্যে বেজায় চটেছেন নান্টুবাবু। সোমবার দুপুরে নিজের বাড়িতে স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পালকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পাল্টা তোপ দাগেন তিনি। তাঁর স্ত্রীও শিলিগুড়ি পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলার। তাঁরা দু’জনেই বলেন, আমরা বলব পর্যটনমন্ত্রীর শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শিলিগুড়িতে নেতা হিসেবে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের ‘দুর্বলতা’র জন্যই শিলিগুড়িতে তৃণমূল প্রত্যাশামতো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
স্বাভাবিকভাবেই এই দুই নেতার বাগযুদ্ধে এখন সরগরম শিলিগুড়ির রাজনীতি। এদিনও নান্টুবাবু বলেন, শিলিগুড়িতে আমি নির্দল প্রার্থী হচ্ছি। এসজেডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ও দল থেকেও পদত্যাগ করব। তবে তিনি বিজেপিতে যাবেন কি না তা নিয়ে নান্টুবাবু সরাসরি কিছু বলছেন না।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নান্টুবাবু গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ব্যাপারে ইচ্ছে প্রকাশ করলেও টিকিটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি তাঁকে নেবে না, এ কথা শোনার পরও নান্টুবাবু বিজেপিতে টিকিট নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই নির্দল প্রার্থী হওয়ার কথা জানিয়ে নান্টু পাল নিজের রাজনৈতিক গুরুত্ব জিইয়ে রাখতে মরিয়া। যাতে বিজেপির সঙ্গে দর কষাকষির পথ খোলা থাকে। আবার অনেকে মনে করছেন, তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ ভোট যাতে বিজেপির বাক্সে না যায়, তারজন্য তাঁর নির্দল প্রার্থী হওয়া তৃণমূলের পক্ষেই যাবে। এই যুক্তিতে দলে নিজের অবস্থান আরও জোরালো করার চেষ্টাও করতে পারেন নান্টুবাবু। যদিও নান্টুবাবুর নির্দল প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্তকে দলবিরোধী কাজ বলেই মনে করছেন গৌতমবাবু। এদিন তিনি বলেন, একটা নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে এসব করা ঠিক নয়। দলের নিয়মশৃঙ্খলা সকলের মেনে চলা উচিত। এর জবাবে নান্টুবাবু বলেন, বামপন্থী ঘরনাতে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। কাজেই নিয়মশৃঙ্খলার দিকটি আমি ভালো জানি। কেউ বলতে পারবেন না যে আমি দলের কথা বাইরে কাউকে বলেছি। অশোক ভট্টাচার্যের লোক বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অন্যায়ভাবে আমাকে শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।