পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত বাম আমলের শেষ দিকে মাথাভাঙা থেকে জোরপাটকি, জটামারি হয়ে মাশানকুড়া, বড়মরিচা হয়ে আদাবাড়ি ঘাট দিয়ে শিঙিমারি নদী পেরিয়ে গীতালদহে বামনহাট লাইনের সঙ্গে সংযোগ করার কথা ছিল। একসময় রেল লাইনের নকশা করে জমি জরিপের কাজও করা হয়। কিন্তু তারপর আর কাজ এগয়নি। তৃণমূল ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। সেই উৎসাহেও পরবর্তীতে ভাটা পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শীতলকুচি ও সিতাইতে ধান, পাট, তামাকের পাশাপাশি বিঘার পর বিঘা জমিতে প্রচুর সব্জি চাষ হয়। বর্ষাকালে চাষ হওয়া এখানকার লঙ্কা উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে রপ্তানি করা হয়। সড়কপথে রপ্তানি করতে খরচ বেশি হওয়ার কারণে চাষিরা ঠিকমতো দাম পান না। আলু, টম্যাটো চাষের উপযুক্ত জমি ও আবহাওয়া রয়েছে এখানে। পাইকারি বাজার না থাকায় কৃষকরা সব্জি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে সহজেই যেমন বাইরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখানে আসবেন, তেমনই কৃষকরাও নিজেদের উৎপাদিত সব্জি ও কৃষিপণ্য সহজেই অন্য পাইকারি বাজারে নিয়ে যেতে পারবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই এলাকায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে নিরাপত্তার দিকেও নিশ্চয়তা তৈরি হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, রেল যোগাযোগ তৈরির ব্যাপারে কেন কেন্দ্র ও রাজ্য আওয়াজ তুলছে না। তাঁরা বলেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য ও কেন্দ্রের ক্ষমতার বৃত্তে থাকা রাজনৈতিক দল দু’টি প্রচারে এলে তাদের কাছে এ ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতি চাইব।
শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মনকে এবার তৃণমূল টিকিট দেয়নি। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর জন্য রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। রেলের ইঞ্জিনিয়াররাও এলকা দেখতে এসেছিলেন। এরপরও বহুবার যোগাযোগ করে কোনও সাড়া পাইনি। মাথাভাঙা হয়ে সিতাই-দিনহাটা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আরও সমৃদ্ধ হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক চেষ্টা করেছি। কৃষিপ্রধান এই এলাকায় রেল যোগাযোগ খুবই দরকার।
বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, মাথাভাঙা থেকে শীতলকুচি, সিতাই হয়ে দিনহাটা, বামনহাট পর্যন্ত রেল যোগাযোগের দাবি অনেক পুরনো। আমরা বাসিন্দাদের এই দাবির কথা জানি। নির্বাচন পর্বে একাধিক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আসবেন। তাঁদের সামনে আমরা এই দাবি তুলে ধরব। আমরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি নই। যাতে প্রান্তিক এই এলাকায় রেললাইন হয়, সেই চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব।