কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মিতালীদেবী কংগ্রেস আমলে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর বাবা কংগ্রেসের বিশিষ্ট নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। ধূপগুড়ি সুকান্ত মহাবিদ্যালয় তিনি পড়াশোনা করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতে তাঁর পারদর্শিতা দেখে তৎকালীন নেতারা যেকোনও মিটিং মিছিলে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার মহিলা সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন। এবারও তাঁর উপরই আস্থা রেখেছে দল।
মিতালী রায় বলেন, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে আমাদের সরকার প্রবেশ করেছে। বিনা পয়সায় রেশন থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা সবটাই পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। সেই জোয়ারে এবার বিরোধীরা ভেসে যাবে। ধুপগুড়িতে খেলা অবশ্যই হবে। বিরোধী না থাকলে মাঠে নেমে কি লাভ। আমি লড়াই-সংগ্রাম করে জয়লাভ করতে চাই। তবে এবার আমার জয়ের ব্যবধান গত বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে বাড়বে। নির্বাচনী প্রচার বলতে আমার আলাদা করে কিছু নেই। আমি সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করি। সারা বছর ধরে মা-মাটি-মানুষের প্রচার করি। এবার জিতে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার চেষ্টা করব। তৃণমূল এবার কোনওভাবেই ধূপগুড়িতে জিততে পারবে না বলে দাবি বিরোধীদের।
তাদের দাবি, পাঁচ বছরে মিতালী রায় ধূপগুড়ির শহরে এবং গ্রামে শুধুমাত্র নাচগানের আসর ও মেলা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি। একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেননি। সেকারণে মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
ধূপগুড়ির বিজেপি নেতা আগুন রায় বলেন, পাঁচ বছরে ধূপগুড়িতে কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি মিতালী রায়। এখনও পর্যন্ত শহরের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্য পরিষেবার অবস্থাও বেহাল। গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট তেমন ভাবে হয়নি। তৃণমূলের পায়ের নীচের মাটি সরে গিয়েছে। মানুষ তাদের পাশে নেই। মিতালীদেবী বলেন, ভোটের হাওয়া তুলতেই বিজেপি অপপ্রচার শুরু করেছে।