পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলায় ১০ এপ্রিল ভোট গ্রহণ করা হবে। ওই দিন পর্যন্ত কালচিনির বুথের কর্মীদের বুথ ছেড়ে অন্য এলাকায় যেতে মানা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রতিটি বুথে পাঁচজন করে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে আলাদা করে দু’টি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। চা শ্রমিক ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দলের ওই পুরুষ ও মহিলা টিম এখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিও। বিজেপি আবার প্রতি বুথে ২১ জনের গ্রুপ তৈরি করে চা শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে জনসংযোগ বাড়াতে। কালচিনি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ২৬৫টি। এরমধ্যে ২৫টি বুথ পড়েছে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই বিধানসভায় আছে ২৩টি চা বাগান। কালচিনিতে কৃষি এলাকা নেই গোটাটাই চা বাগান। ফলে কালচিনিতে এবারও ভোটে নির্ণায়ক হয়ে উঠবেন চা শ্রমিকরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল চা শ্রমিকদের নিয়ে যে কতটা আন্তরিক তৃণমূলের বুথভিত্তিক ওই পুরুষ ও মহিলা গ্রুপের সদস্যরা সেটাই শ্রমিকদের বোঝাচ্ছেন। চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর নির্মাণ, শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি, ফাউলাইয়ের টাকা চালু, বন্ধ বাগান খোলা, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের জয় জোহার প্রকল্প, নিঃশুল্ক রেশন প্রদান এবং সর্বোপরি করোনাকালে শ্রমিকদের পাশে থাকা এসবই শ্রমিকদের সামনে তুলে ধরছে তৃণমূল। এবার এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পাশাং লামা। তিনি ইতিমধ্যেই চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় গিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।
তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি গণেশ লামা বলেন, আমরা চা শ্রমিকদের এটাও বলছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিকদের বিষয়ে আন্তরিক বলেই ভোটের পরে শ্রমিকদের জন্য আরও উন্নয়ন করবে এই সরকার।
শুধু তাই নয়, বিধানসভার ২৬৫টি বুথ বা ২৩টি চা বাগানের কোন বুথ ও কোন চা বাগান থেকে কত ভোট পাওয়া যাবে তৃণমূল তারও অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছে। অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্ব বুথভিত্তিক দলের ওই পুরুষ ও মহিলা গ্রুপের কাছ থেকে তারও চুলচেরা খোঁজখবর নিচ্ছে।
এখানে প্রার্থী ঘোষণা না হলেও চা বলে ভোটের প্রচারে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। অসমে চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, আয়ুষ্মান যোজনা, ডুয়ার্সে এখনও অনেক বন্ধ চা বাগান না খোলা ও কেন্দ্রীয় বাজেটে চা শিল্পে বরাদ্দের পরিসংখ্যান প্রচারের আলোয় আনছে বিজেপি।
কালচিনির বাসিন্দা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র বড়া ওঁরাও বলেন, তৃণমূল তো সবে বুথে যাওয়া শুরু করেছে। আমরা অনেক দিন আগে থেকেই বুথভিত্তিক ২১ জনের গ্রুপ বানিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি ভোটের প্রচার চালাচ্ছি। ফলে তৃণমূলের এই গ্রুপ তৈরি ভোটে কাজ দেব না।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের উইলসন চম্প্রমারি মাত্র ১৫১১ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির বিশাল লামাকে পরাজিত করেছিলেন। উইলসনবাবু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৬১টি ভোট। সেই উইলসন চম্প্রমারি একবছর আগে সেই জোড়াফুল শিবির ছেড়ে পদ্মফুল শিবিরের যোগ দেন।