কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এক এক ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য এক একরকম গান। আলাদা আলাদা তার বুলি, সুরও আলাদা। কীরকম সেই গান? নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যদি ডাক আসে, তবে ভোটারদের মধ্যে ভোটদান নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে শিল্পীরা সুর করে গাইবেন, ‘নিয়ম হয়েছে এবছর/চিন্তার নাই কো ভোটার তোর/তাই তো বুঝি ভোট দেবেন মালদহের জনগণ/৮০ বছর বয়স আর প্রতিবন্ধী যাঁরা/পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন নিজের তাঁরা/পোস্টাল ব্যালটে ভোট যিনি দেবেন একবার/বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার নাই কো দরকার।’
আবার যদি তৃণমূলের হয়ে প্রচারে ডাক পড়ে, তবে তো এই গান গাইলে হবে না। সেজন্য তৈরি রয়েছে আলাদা বুলি। তখন শিল্পীরা গাইবেন, ‘কন্যাশ্রী, সবুজসাথী পেয়েছে জনগণ/তার সাথে দিয়েছে দিদি বাংলার উন্নয়ন।’
মালদহ এক গম্ভীরা শিল্পী বাবলু মণ্ডল বলেন, প্রতিবার ভোট এলেই নানা দলের পক্ষ থেকে আমাদের ডাক পড়ে। আমাদেরও ভালো লাগে। কোথাও আমরা মুখোশ পরে গান গেয়ে প্রচার করি, কোথাও বা এমনি এমনি করি। এবারও নির্বাচনের জন্য আমাদের গান ও সুর মোটামুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন ডাক পেলেই মাঠে নামব। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশন ডাকলেই আমরা সবথেকে বেশি খুশি হব। তাহলে জেলার সব জায়গায় গিয়ে গম্ভীরা গানের মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে পারব যে নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে। এছাড়াও তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের মতো রাজনৈতিক দলগুলি যদি ডাকে তাহলে তাদের দলের হয়ে প্রচার করার মতোও সব গান তৈরি রয়েছে। আরও এক গম্ভীরা শিল্পী সমিত বসাক বলেন, এর আগেও বহু নির্বাচনে আমরা সব দলের প্রচার করেছি। আমাদের গান শোনার জন্য ভালোই ভিড় হয়। মানুষ পছন্দ করে এই গান। তাই এবার ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা তৈরি।
প্রসঙ্গত, মালদহ জেলার নিজস্ব লোকসঙ্গীত এই গম্ভীরা। গম্ভীরা নাচ ও গানের সঙ্গে জেলার বাসিন্দাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। মালদহ জেলার এই গম্ভীরার খ্যাতি রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়েছে। অতীতে একসময় মহা সমারোহে জেলায় গম্ভীরা উৎসব হতো। তবে সেসব সোনালি দিন এখন অতীত। তবুও জেলার বেশ কিছু শিল্পী আজও এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁরা সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে মঞ্চ করে নানা অনুষ্ঠান করে থাকেন।