বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পায়রাডাঙা, জলপাইগুড়ি : আমি যখন পদশ্রী পুরুষ্কার পাই তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে বলেছিলেন, করিমুল তোমার কি চাই? আমি বলেছিলাম, আমার নিজের কিছু চাইনা। তবে উত্তরবঙ্গে এইমস-এর মত হাসপাতাল করা হোক। আর এলাকার মানুষের স্বার্থে চেল সেতু করে দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, হো জায়গা। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ পর্যন্ত চেল সেতু হল না।
এবার ভোট দিতে যাওয়ার আগে আরও একটা বিষয় আমাকে পীড়া দিচ্ছে। তা হলো, সেভক সেতু নিয়ে। ডুয়ার্সের লাইফ লাইন বলে পরিচিত সেভক সেতু আজও উপেক্ষিত। ৫০ বছর আগে এই সেভক সেতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই শুনি দ্বিতীয় সেভক সেতুর কাজ শুরু হবে, কিন্তু হলনা। কেন হলনা আমি জানিনা। এই সেভক সেতু দিয়ে ডুয়ার্সের মানুষেরা যাতায়াত করে। ভারী যানচলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলছে সেই গাড়ি গুলো। যে কোনও দিন সেভক সেতু ভেঙ্গে গিয়ে প্রানহানি হতে পারে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যকে বলব দ্বিতীয় সেবক সেতুর জন্য কিছু একটা করুন না। কেন্দ্র সরকার তো সাহায্য করতে পারত। শুনেছি আসামের কোথায় কয়েক কিমি সেতু তৈরি করা হয়েছে। এখানে তো অতবড় সেতুর প্রয়োজন নেই। মানুষের স্বার্থে এই সেতু করে দেওয়া উচিত ছিল। তবে রাজ্য সরকার কে বেশি দোষ দেওয়া যাবে না। কারণ সরকার অনেক কাজ করেছে। বহু রাস্তা তৈরি করেছে। সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে।
ভাল লাগছে স্বাস্থ্য নিয়ে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প গড়ায়। গরীব ও সাধারণ মানুষের জন্য এটা জরুরি ছিল। রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দিদি স্বাস্থসাথীর কার্ড কোনওদিন বন্ধ করে দেবেন না। কারণ এই স্বাস্থসাথী কার্ড দিয়ে অনেক মানুষ উপকার পেয়েছে। আমি নিজে তার প্রমাণ। কোলকাতাতেও স্বাস্থসাথীর কার্ড দিয়ে অনেক মানুষের চিকিৎসা হয়েছে। এমনকি চেন্নাইতে কম খরচে কিডনি অপারেশন এই স্বাস্থসাথীর কার্ড দিয়েই হয়েছে। কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, যুবশ্রীর টাকা পেয়ে বহু মানুষের উপকার হয়েছে।
নেতাদের বলব, কাজ করুন। জার্সি বদল করে লাভ নেই। যেখানেই থাকুন না কেন, কাজ আপনাকে করতে হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ। এখানে নানা জাতির বসবাস। তাই বলব তাই জাতপাত নিয়ে লড়াই করে লাভ নেই। আমরা একসাথে সব জাতি, ধর্ম নিয়ে বসবাস করতে চাই। আমি নিজে মুসলিম হয়েও অনেক দুর্গাপূজার উদ্বোধন করেছি। তাই আমি রাজনৈতিক নেতাদের বলব হিন্দু মুসলিমের সাথে ভেদাভেদ করে কোন লাভ নেই।
