শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
অন্যদিকে, সকালেই প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ দে ভৌমিক। সকালে কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বরে পথচলতি লোকজনের সঙ্গে দেখা করে ভোট প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে দিনহাটা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ দিনভর দিনহাটা-২ ব্লকের মধ্যে থাকা তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার চালান। নাটাবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ চিলাখানা বাজার, পালপাড়া, কুঠিবাড়িতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচার চালান। আর সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া গিতালদহের বিভিন্ন এলাকায় খুলি বৈঠকের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচার করেন।
বিনয়বাবু বলেন, আমি মাথাভাঙা আসন থেকে গত বিধানসভা ভোটে জিতেছি। এই কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকা ভালোভাবে চিনি। দলের নিচুতলার কর্মী থেকে নেতা সকলের সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমাকে কোচবিহার উত্তর আসনে দল এবার টিকিট দিয়েছে। আমি সেখানকার সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তাছাড়া সেখানে দলের কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আছে। সেইজন্য এদিন সেখানকার সব অঞ্চল ও ব্লক নেতৃত্বকে ডেকে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। তা না করলে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেজন্য এদিন আর প্রচারে বের হতে পারিনি। কয়েক দিনের মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে যাব।
মাথাভাঙা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রে বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে এবার তৃণমূল টিকিট দিয়েছে। কিন্তু নিজের জেতা আসন থেকে সরিয়ে অন্যত্র দেওয়ায় খুব একটা খুশি নন বিনয়বাবু। সেটা তা তাঁর ঘনিষ্ঠমহলেও জানিয়েছেন. ওই আসনটি এখনও বামেদের দখলে রয়েছে। এছাড়াও ওই আসনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও প্রকট। তাই ওই আসন থেকে তার .জিতে আসা অনেকটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই আসন থেকে অনেক স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ফলে সেখানে গোষ্ঠী কোন্দল, মনোমালিন্য না মিটিয়ে প্রচারে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরতে পারে বুঝেই ধীরে চলার কৌশল নিয়েছেন বিনয়বাবু, এমনটাই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।