গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চাষিদের অভিযোগ, প্রকৃত কৃষকরা হিমঘরে আলু রাখার বন্ড পাচ্ছেন না। কিন্তু বাইরের একাংশ কারবারি ও ফড়েরা দালালচক্রের মাধ্যমে বন্ড পেয়ে যাচ্ছে। এতে চাষিরা আলু সংরক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাণ্ডুয়ার আলু চাষি সুফল মণ্ডল বলেন, সিটকামহল হিমঘরে আলু সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের মতো চাষিদের হয়রানি করা হচ্ছে। হিমঘর কর্তৃপক্ষ বন্ড বিলি করছে না। তারা সরাসরি বলে দিচ্ছে হিমঘরে আলু রাখা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে আলু জমিতে রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি হলে আলু পচে যাবে। তার আগে আলু সংরক্ষণ করতে না পারলে আমাদের ক্ষতি হবে। যে কারণে আমরা এদিন বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলাম। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুক।
এবিষয়ে গাজোল থানার পুলিস কর্তারা বলেন, পাণ্ডুয়ার সিটকামহলে চাষিরা পথ অবরোধ করেছিলেন। বড়সড় কোনও অশান্তি হয়নি। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। যান চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এবিষয়ে জেলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অব এগ্রিকালচার (মার্কেটিং) নির্মল দাস বলেন, এদিন চাষিদের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আলুর বন্ড নিয়ে চাষিদের কোনও সমস্যা হবে না।
মালদহ জেলায় আলুর বন্ড ইস্যুতে সপ্তাহ খানেক ধরেই চাষিদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। কয়েকদিন আগে হবিবপুরে একটি হিমঘরের সামনে চাষিরা এনিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তার একদিন পর পুরাতন মালদহে চাষিরা একই ইস্যুতে আন্দোলনে শামিল হন। পরপর দু’দিন কৃষক আন্দোলনের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার গাজোলের কৃষকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পাণ্ডুয়া, গোলঘর, সিটকামহল, আদিনা, আট মাইল সংলগ্ন গ্রামের কৃষকেরা আলুর বন্ড না পেয়ে সিটকামহলের একটি হিমঘর ঘেরাও করেন। এর জেরে হিমঘরে আলু সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়। এরপর চাষিরা জাতীয় সড়কে গাছের গুঁড়ি রাস্তায় ফেলে অবরোধ শুরু করেন। দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর গাজোল থানার পুলিস এসে অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ উঠে যায়।