পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রথম বার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও পুরসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজারে ১৯৯০ সালে প্রথমবার জয়লাভ করেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তখন থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা ১৫ বছর তিনি পুরসভার কাউন্সিলার ছিলেন। ২০০৫ সালে হেরে গেলেও ফের ২০১০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত একটানা কাউন্সিলার ছিলেন। পুরসভার চেয়ারম্যান চার দফায় থেকেছেন সাড়ে ১৪ বছর।
পাশাপাশি ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি পাঁচ বার লড়াই করেছেন। দু’বার হেরে গেলেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ের হ্যাট্রিকও করেছেন ২০০৬, ২০১১ বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৩ সালের উপনির্বাচনে। ফলে জয় পরাজয় মিলিয়ে কৃষ্ণেন্দুবাবুর নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা যে বিপুল তা স্বীকার করেছে রাজনৈতিক মহল। এহেন নেতাকে তৃণমূল এবার ফের ইংলিশবাজার কেন্দ্রে প্রার্থী করায় টানটান নির্বাচনী লড়াই হতে চলেছে বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে কৃষ্ণেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া, ইংলিশবাজার আমার চেনা কেন্দ্র। এখানে পুরসভা থেকে বিধানসভা নির্বাচনে অনেকবার লড়াই করেছি। কখনও জিতেছি, কখনও হেরেছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আস্থা রেখেছেন, তখন জেতার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামছি। সকলের কাছে সমর্থন করার আবেদন জানাব।
তবে সন্ধ্যার পর থেকেই ভোটের মাঠে নেমে পড়েন এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা। নিজের হাতে দেওয়াল লিখন থেকে কর্মী বৈঠক, সবকিছুই সেরেছেন রুটিন মেনে। কৃষ্ণেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ অনুগামী তথা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ভোটে লড়লে নির্বাচন এক অন্য মাত্রা পায়। পুরসভার চেয়ারম্যান, বিধায়ক, মন্ত্রী হিসেবে তাঁর পারফরম্যান্সই তাঁকে কয়েক’শ যোজন এগিয়ে রেখেছে। তাঁর জয় সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত।
বর্তমানে মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পদে থাকা ছাড়াও বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত কৃষ্ণেন্দুবাবু। তাঁর অনুগামীদের বক্তব্য, তাঁকে যখনই ফোন করা হয় তিনি ফোন ধরেন। একজন সক্রিয় নেতার এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য সবসময় বজায় রেখেছেন তিনি। নির্বাচনে তার সুফল নিশ্চয়ই পাবেন।
তবে আস্তিন গোটাচ্ছে বিজেপি শিবিরও। দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কে কোন আসনে তৃণমূল প্রার্থী, তা আমরা বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছি না। তৃণমূল নেত্রী তো বলেই দিয়েছেন সব আসনে নাকি তিনিই লড়বেন। ধরে নেওয়া যাক ইংলিশবাজারেও আসলে তিনিই প্রার্থী। লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রায় এক লক্ষ ভোটে আমরা এগিয়ে ছিলাম। সুতরাং প্রার্থী যিনিই হন না কেন, এই আসনে বিজেপির জয়লাভ নিয়ে শুধু বিজেপি নয়, সাধারণ নাগরিকরাও সম্পূর্ণ নিশ্চিত।