শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
এদিকে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের পার্টি অফিসের সামনে ব্যান্ডপার্টি বাজিয়ে, পটকা ফাটিয়ে কর্মী-সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। আনন্দে কর্মীরা তাঁকে কাঁধে তুলে নেন। পার্থপ্রতিম রায় এদিন কোচবিহারের মদন মোহন মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা দেন। মাথাভাঙার পঞ্চানন মোড়ে মনীষী পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতেও তিনি এদিন মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি শীতলকুচিতে গিয়ে একটি মিছিলে অংশ নেন। এদিকে, প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই বাড়ি থেকে টোটোয় চেপে দলীয় কার্যালয়ে যান ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গিরিন্দ্রনাথ বর্মন। সেখানে তিনি একটি মিছিলে অংশ নেন।
পার্থবাবু বলেন, দলনেত্রী আমাকে প্রার্থী করায় আমি খুশি। দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। অভিজিৎবাবু বলেন, আমার নাম কোচবিহার দক্ষিণের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর্মী-সমর্থকরা চলে আসেন। তাঁরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। আমরা আগে থেকেই প্রচারে ছিলাম। এবার আরও জোরদার প্রচারে নেমে পড়ব।
এদিন কোচবিহারের স্টেশন মোড়ে গিয়ে দেখা যায় অভিজিৎবাবু পার্টি অফিসে প্রচুর কর্মী-সমর্থক ভিড় করে রয়েছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন সমর্থকরা। বাইরে ব্যান্ডপার্টি বাজছে। রাস্তার ধারে কর্মীরা পটকা ফাটাচ্ছেন। অভিজিৎবাবু জানান, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তিনি প্রচারে অংশ নেবেন। দিনহাটায় উদয়নবাবুকে ঘিরেও এদিন কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। তুফানগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী প্রণবকুমার দে (মানিক) এদিন প্রার্থী ঘোষণার সময়ে আলিপুরদুয়ারের লিচুতলার বাড়িতে ছিলেন। সেখানেই তুফানগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কর্মী-সমর্থকরা আসেন। নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এদিন প্রার্থী ঘোষণার সময় বাড়িতেই ছিলেন। পরে তিনিও প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন। সিতাই বিধানসভার প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হওয়ার পরেই কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁরা আনন্দে স্লোগান দিতে থাকেন। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী এদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে কালী মন্দিরে ও রামকৃষ্ণ মঠে প্রণাম সেরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। শাসক দলের প্রার্থী ঘোষণা হতেই সারা জেলাতেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়ালেও প্রার্থী হতে না পারা বিধায়কদের অনুগামীরা কার্যত নীরব ছিলেন।