কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপি সূত্রের খবর, সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে হাজির ছিলেন মালদহ সহ তিন জেলার প্রায় ৪০০ জন প্রতিনিধি। মণ্ডল স্তর থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদেরও এই বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য হাজির ছিলেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা রত্নাকর শেঠী। তিনি উত্তরপ্রদেশ ও বিহার নির্বাচনে বিজেপি’র হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দলের জেলা সহ সভাপতি তথা মুখপাত্র অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একটি প্রশিক্ষণ শিবির হয়েছে। ওই শিবিরে সভায় বক্তব্য রাখার বিষয়ে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন দলের অভিজ্ঞ নেতারা। সেই পরামর্শ প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়া সকলেরই কাজে লাগবে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষুরধার বক্তব্য রাখার তালিম দেওয়া। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে হয়, তা নিয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একটানা চলা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কী শেখানো হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। দলের জেলা স্তরের এক প্রবীণ নেতা বলেন, এটুকু বলতে পারি, অনেক কিছুই শিখেছি। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় এই শিক্ষা খুব কাজে লাগবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতানেত্রীদের একই বিষয়ে একই ধাঁচে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শব্দচয়নের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পাশাপাশি বক্তৃতার সময় বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ঘটনাপ্রবাহের রেফারেন্স তুলে ধরার কথাও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বক্তৃতার মধ্যে বিজেপি বিরোধীদের নেতিবাচক কার্যকলাপ তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে দলের ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক দিকগুলিও তুলে ধরার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপি’র এই বক্তৃতা প্রশিক্ষণ শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের অন্যতম কো অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, বক্তৃতা দেওয়া আবেগের ও যুক্তির বিষয়। আমরা ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি।