বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
হামিদুল সাহেবকে চোপড়া থেকে, করিম সাহেবকে ইসলামপুর থেকে, তপনদেববাবুকে কালিয়াগঞ্জ থেকে ও রব্বানিকে গোয়ালপোখর থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ওঁরা সকলে ওইসব কেন্দ্রেরই বিধায়ক ছিলেন। নতুন মুখ হিসেবে এবার চাকুলিয়াতে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মিনহাজুল আরফিন আজাদ। করণদিঘিতে দলের বিধায়ক ছিলেন মনোদেব সিনহা। এবার তাঁকে সরিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম পালকে প্রার্থী করা হয়েছে। ইটাহারে দু’বারের বিধায়ক অমলবাবু বাদ পড়ায় এলাকার তৃণমূল কর্মীরা ক্ষুব্ধ। জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যানও তিনি। তাঁর জায়গায় নতুন মুখ মুশারফ হুসেনকে সেখানে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি দলের কোঅর্ডিনেটরের পদে আছেন। এ ব্যাপারে অমলবাবুর বক্তব্য জানতে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। হেমতাবাদ কেন্দ্রে এবার জোড়াফুলের টিকিট পেয়েছেন সত্যজিৎ বর্মন। তিনি রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ তিনি।
এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমি রায়গঞ্জ কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হয়েছিলাম। পরাজয়ের পরে নেত্রী আমাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে জেলার সমস্ত বিধানসভা এলাকায় সংগঠন মজবুত করেছি। লোকসভা ভোটের সময় কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে প্রাপ্ত ভোটের বিচারে আমি ৫৬ হাজার ৭০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলাম। তারপরেও সেখানে যখন উপনির্বাচন হয়, তখন সেখানে আমাদের প্রার্থীই জয়ী হয়েছেন। এবার আমাকে রায়গঞ্জে প্রার্থী করা হয়েছে। সেখানে আমাদের মজবুত সংগঠন আছে। আমরাই জয়ী হব। এদিকে, এদিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা করিম চৌধুরীর বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করেন। উপস্থিত সকলকেই মিষ্টিমুখ করানো হয়। করিম চৌধুরী বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকেই টিকিট দেবেন।
দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, পিকের টিমের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতেই অনেক পর্যালোচনা করে এই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রতীক এঁকে, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান নিয়ে দেওয়াল লিখে ফেলেছেন। এবার প্রার্থীর নাম সহ দেওয়াল লিখন শুরু হবে বলে জানিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।