পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নির্বাচনের মুখে বর্তমানে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এক রাজনৈতিক দলের দখলে থাকা দেওয়ালে থাবা বসাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে গ্রামেগঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে ছোটখাট গণ্ডগোলও হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপে তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়কেই একটি দেওয়াল ভাগ করে লেখার অনুমতি দিয়েছেন বাড়ির মালিক চম্পা দাস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি তুফানগঞ্জ শহরে এই ধরনের দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে।
সম্প্রতি দু’দলের কর্মীরা গিয়ে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে দেওয়াল লিখনের জন্য অনুমতি চান। চম্পাদেবী কোনও নির্দিষ্ট দল করেন না। তাই একজনকে অনুমতি দিয়ে অন্যজনকে বঞ্চিত করা হলে ভবিষ্যতে ‘রোশের মুখে’ পড়তে পারেন। এমন অবস্থায় চিন্তায় পড়েন তিনি। অবশেষে নিজেই এর সুরাহার পথ খুঁজে নেন। শেষমেশ উভয়কে সন্তুষ্ট রাখতে বাড়ির মালিক তাঁর বাড়ির সীমানা পাঁচিল লাইন কেটে তৃণমূল ও বিজেপিকে ভাগ করে দিয়েছেন।
গত সোমবার তুফানগঞ্জ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড মোড় রকি ক্লাবের পাশে ওই দেওয়ালকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। অবশেষে বিরোধ মিটিয়ে ওই দেওয়ালের একাংশে তৃণমূলের লোকজন জোড়াফুল আঁকেন। অন্যঅংশে বিজেপি পদ্মফুল এঁকেছে। তুফানগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, বাড়ির মালিকের কাছ থেকে তারা অনুমতি নিয়েই দেওয়ালে লিখতে যান। ওই সময়ে তা দেখে বিজেপির লোকজন এসে দাবি করে তাদের কাছে বাড়ির মালিকের অনুমতিপত্র রয়েছে। আর তাতেই বিরোধ বাঁধে। বিষয়টি নিয়ে শহরের মধ্যে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হলেও অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাড়ির মালিক উভয়দলকে দেওয়াল লিখনের জন্য জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়ায় সমস্যা সেখানেই মিটে যায়।
তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক কৌশিক সিনহা বলেন, একটি মৌখিক অভিযোগ এসেছিল। সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির মালিক চম্পা দাস বলেন, এ নিয়ে আমি বেশিকিছু বলব না। তবে আমি উভয় দলকেই দেওয়াল লিখনের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। তারা নিজেদের মতো করে দেওয়ালে লিখেছে।
তৃণমূলের তুফানগঞ্জ টাউন ব্লক কমিটির সহ সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, আমরা আগেই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছিলাম। পরে বিজেপি এসে ঝামেলা পাকায়। যদিও আমরা এ জন্য বাড়ির মালিককে ধন্যবাদ জানিয়েছি, কারণ তাঁর উদ্যোগেই সমস্যা মিটেছে। দলের টাউন ব্লক সভাপতি শিবপদ পাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কাছে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিরোধ মিটেছে।
বিজেপি যুব মোর্চার শহর মণ্ডল সভাপতি প্রসেনজিৎ বসাক বলেন, আমরাই ওই বাড়ির মালিকের কাছে আগে অনুমতি নিয়েছিলাম। ওরা পেশীশক্তি খাটিয়ে গোটা দেওয়াল দখলের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা চাই না অশান্তি হোক তাই তৃণমূলকে অর্ধেক অংশ ছেড়ে দিয়েছি। ওরা দেওয়ালে লিখেছে।