গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে বিশদে মন্তব্য করতে চাননি জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তিনি বলেন, বেশকিছু বুথে মহিলা ভোটকর্মী থাকবেন। সংখ্যাটি কত তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে যেখানে মহিলা ভোটকর্মীরা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন, সেই বুথগুলিতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, মালদহের ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে মেইন ও অক্সিলিয়ারি মিলিয়ে ৪২৩০টি পোলিং বুথ রয়েছে। তারমধ্যে একই ভোটকেন্দ্রে দু’টি বুথ রয়েছে এমন কেন্দ্র রয়েছে ৯৯৬টি। তিনটি বুথ সহ ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২২১টি। চার ও পাঁচটি বুথ সহ কেন্দ্র রয়েছে যথাক্রমে ১৭১ এবং ১৯টি। ছ’টি বুথ সহ পোলিং স্টেশন রয়েছে ১৭টি। তবে পাঁচ বা ছ’টি বুথ সহ ভোটকেন্দ্র জেলার সব ক’টি বিধানসভা কেন্দ্রে নেই।
এই বুথগুলির মধ্যে কতগুলি শুধুমাত্র মহিলা ভোটকর্মী দ্বারা পরিচালিত হবে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন দপ্তরের একাংশ আধিকারিক। তবে এক পদস্থ কর্তা বলেন, ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রেই মহিলা ভোটকর্মী পরিচালিত শতাধিক বুথ থাকতে পারে। নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত আর এক পদস্থ কর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ন্যূনতম ১০টি বুথ মহিলা পরিচালিত হতে পারে। এছাড়া ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫০টি বুথ মহিলা পরিচালিত হতে পারে। বিষয়টি বিবেচনাধীন। চলতি সপ্তাহেই সবদিক খতিয়ে দেখে বৈঠকের পরেই সংখ্যাটি চূড়ান্ত হবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, মহিলা ভোটকর্মীদের জন্য বেশকিছু ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে কেন্দ্রগুলিতে একইসঙ্গে একাধিক বুথ রয়েছে শুধু সেখানেই মহিলা কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। একই চত্বরে সমস্ত বুথ মহিলা পরিচালিত হলে ভোটকর্মীরাও স্বস্তি বোধ করবেন। এছাড়াও তাঁদের জন্য মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে। ওই ভোটকেন্দ্রগুলির চারপাশে কড়া প্রহরায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপরও মহিলা ভোটকর্মীদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, সেদিকে নজর থাকবে নির্বাচন দপ্তরের।
ভোটের দায়িত্ব পালন করা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে মহিলা ভোটকর্মীদের কাছ থেকে। স্কুল শিক্ষিকা দেবারতি চৌধুরী বলেন, আগে বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছি। এবার ভোট নেওয়ার জন্য চিঠি এসেছে। বিষয়টি নতুন। তবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব। অপর এক শিক্ষিকা শ্যামলী বাগচি বলেন, কয়েকমাস আগেই পা ভেঙেছিল। এখনও খুঁড়িয়ে চলতে হচ্ছে। স্বামীরও ভোটের ডিউটি এসেছে। বাড়িতে দুই মেয়ে ও অসুস্থ শ্বশুর-শাশুড়ি। তার উপরে ট্রেনিং নিতে বলা হয়েছে চাঁচল থেকে। সমস্যায় পড়েছি।
একইভাবে জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে দেখা গেল এক দম্পতিকে। দু’জনেরই ভোটের ডিউটি এসেছে। একমাত্র সন্তানের হার্টের সমস্যা থাকায় সমস্যায় ওই দম্পতিও। প্রাথমিক শিক্ষক স্বামী বলেন, আমি ডিউটি করতে রাজি। তবে, অসুস্থ সন্তানের কথা ভেবে স্ত্রীকে যেন ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সেই আর্জি নিয়ে এখানে এসেছি।