কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটকর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ইতিমধ্যেই একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই বোর্ডে জেলা হাসপাতালের সুপার সহ বিশেষজ্ঞ সাতজন চিকিৎসক রয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ভোটকর্মীদের নির্দিষ্ট তারিখ এবং সময় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই মেডিক্যাল বোর্ড কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫ মার্চ পর্যন্ত ভোটকর্মীদের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলবে। তাই প্রায় দিনই সুপারের চেম্বারে ভোটকর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসছেন। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ চিন্ময় বর্মন বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ১০০ জনের মতো ভোটকর্মী এসে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪৫০ ভোটকর্মীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীর সুস্থতা, অসুস্থতার সার্টিফিকেট সহ নামের তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
আলিপুরদুয়ার-২’র বিডিও চিরঞ্জিৎ সরকার বলেন, আমার কাছে যেসব ভোটকর্মী ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতির চেয়ে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের জেলা নির্বাচন দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। আলিপুরদুয়ার জেলা অতিরিক্ত নির্বাচনী আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, বেশকিছু আবেদন জমা পড়েছিল। যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে ডিউটি করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে একাংশ সরকারি কর্মী, স্কুল শিক্ষক, শিক্ষিকা, আইসিডিএস কর্মী তাঁদের অফিসে আবেদন করছেন। ওসব আবেদনপত্র পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসনের টেবিলে এসে জমা পড়ছে। ওই আবেদন হাতে পেয়েই জেলা নির্বাচন দপ্তর সংশ্লিষ্ট কর্মীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। জেলা হাসপাতাল সুপারের চেম্বারে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। প্রয়োজনে এক্সরে, প্যাথলজি টেস্ট করতে দিচ্ছেন। এরপর মিলছে সার্টিফিকেট। আলিপুরদুয়ার জেলা সদরে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যা। সেখানে থাকা নির্বাচন দপ্তরের দেওয়ালে প্রতিটি ভোটকর্মীর নাম ঝোলানো রয়েছে। সেখানেই কারা সুস্থ, কারা অসুস্থ তাঁদের নাম জ্বলজ্বল করছে। জেলা নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, প্রকৃতই যাঁরা অসুস্থ তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।