বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
টিএমওয়াইসি কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় দলীয় ঝাণ্ডা লাগাচ্ছে। যুব তৃণমূল দাবি করেছে, বিজেপি এজেন্সিকে দিয়ে এসব কাজ করছে। কিন্তু তারা সংগঠনের কর্মীদের মাঠে নামিয়েই এই কাজ শুরু করেছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শুধুমাত্র পতাকা লাগানোই নয়, গত বুধবার থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বাড়িতে লাগাতার প্রায় ১০ দিন ধরে রাত্রিবাস কর্মসূচিও পালন করছে জেলার যুব তৃণমূল। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করা হচ্ছে। বিজেপি অবশ্য যুব তৃণমূলের এ সমস্ত কর্মসূচিকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, তারা তাদের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যুব তৃণমূল কংগ্রেস যেসব কাজ করছে তারা অনেক আগেই তা করেছে। তাদের দেখেই টিএমওয়াইসি এখন এসব কাজ করছে। তৃণমূলের অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, জেলার অনেক জায়গায় বিজেপি বাণিজ্যিক এজেন্সিকে দিয়ে পতাকা লাগিয়েছে। আমরা কর্মীদের দিয়ে জেলাজুড়ে একলক্ষ দলীয় পতাকা লাগাব। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, আমাদের এজেন্সির দরকার হয় না। ওরাই এজেন্সি দিয়ে রাতের অন্ধকারে বিজেপির পতাকাকে ফেলে দিচ্ছে, ছিঁড়ে ফেলছে, আগুন লাগাচ্ছে। বিজেপির সংস্কৃতি এটা নয়। ওরা একলক্ষ পতাকা লাগালে আমরা পাঁচলক্ষ পতাকা লাগাব। জেলায় পতাকা লাগানোর কাজ চলছে। দেওয়াল লেখাও শুরু হয়েছে।
অপরদিকে, বাস, মিনিবাস, অটো, টোটো, ম্যাক্সিট্যাক্সি, সাফারি ক্যাব, বাজার কর্মচারী সমিতি, রেলের শ্রমিক ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করা হবে বলে তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতাদের দাবি। একইভাবে বিজেপিও পরিবহণ সংগঠনকে ধরতে মাঠে নেমে পড়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
এদিকে, দুই দলের ভোটযুদ্ধ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন বাসিন্দারা। প্রচারে আসা নেতানেত্রীদের কাছে তাঁরা নিজেদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরছেন।