বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবিষয়ে মথুরাপুরের প্রধান বিজেপির মিলন মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বলা স্বত্ত্বেও এখন পর্যন্ত লাইটের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা এনিয়ে বারবার ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাঁরা এর সদুত্তর দিতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ রায় বলেন, বিভিন্ন কাজে ভূতনি সেতু দিয়ে সন্ধ্যার পর সাইকেলে যাতায়াত করতে হয়। সেই সময় গঙ্গা নদীর উপর এই সেতু অন্ধকারে ডুবে থাকে। বিশেষ করে কৃষ্ণপক্ষ তিথিতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চলাচলে খুবই সমস্যা হয়। রাজনৈতিক দলের নেতারা ভোটের আগে এলাকায় এসে নানা সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপর সারা বছর এখানকার মানুষ কী অবস্থায় থাকে, তাদের কী প্রয়োজন, এলাকায় কী উন্নয়ন করা উচিত এসব বিষয়ে আর নজর দেন না। তাই এবার এখানে ভোট প্রচারে যারাই আসুক তাদের কাছে সমস্যার বিষয়টি আমরা তুলে ধরব। তবে আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা এবার সতর্ক। যদি আমাদের সঠিক পরিষেবা না দেওয়া হয় ভোটবাক্সে তার প্রমাণ মিলে যাবে।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, দীর্ঘদিন আগেই লাইটের কাজ শেষ হয়েছে। তবে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। এনিয়ে আমার কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। তবে বিষয়টি পূর্তদপ্তর দেখছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সামসুল হক বলেন, ভূতনি সেতুতে আলো জ্বালানোর প্রক্রিয়া কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে।
ভূতনি মানিকচক ব্লকের অন্যতম এলাকা। পুরো এলাকাটিই গঙ্গার নদীর চর। এখানে প্রায় এক লক্ষ লোকের বসবাস। আগে নৌকাই ছিল মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এখানকার বাসিন্দাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। কিন্ত রাজ্য সরকার বছর দেড়েক আগে ২ কিমি লম্বা এই সেতুর উদ্বোধন করেছে। ফলে বাসিন্দাদের এতদিনের যোগাযোগের সমস্যা মিটেছে। কিন্তু লাইটপোস্ট সহ পরিকাঠামো তৈরি করা হলেও এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে বাসিন্দারা রাতে সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।