গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল বলেন, এই জেলার লিডিং পার্টি সিপিএম। বামফ্রন্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় দল সিপিএম। তাই আমাদের বেশি আসন দিতে হবে। কম আসন দিলে আমরা মেনে নেব না। এবিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। চোপড়া, ইসলামপুর, করণদিঘি, হেমতাবাদ ও ইটাহার আমরা চেয়েছি। করণদিঘি কেন্দ্র ফরওয়ার্ড ব্লককে ছাড়ব না। গত পাঁচ বছরে করণদিঘিতে ফব মানুদের দাবি নিয়ে একটি আন্দোলন কর্মসূচিও করেনি। সেখানে ফব দলটাই উঠে গিয়েছে। যখন তারা শক্তিশালী ছিল, তখন ফব ছিল, এখন কেন থাকবে।
ফব’র জেলা সম্পাদক তথা করণদিঘির প্রাক্তন বিধায়ক গোকুল রায় বলেন, চাকুলিয়া ও করণদিঘি, এই দু’টি কেন্দ্র আমাদের। এবারও দু’টি কেন্দ্র আমাদেরই থাকবে। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি রাজ্য স্তর থেকে হয়। সিপিএম যদি তাদের যুক্তি দিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে করণদিঘি কেন্দ্রটি দাবি করতে পারে তা হলে করুক।
চাকুলিয়ার বিধায়ক তথা ফব’র জেলা কমিটির সদস্য আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, করণদিঘিতে প্রার্থী ফব’রই হবে, তা চূড়ান্ত। আমরা চাকুলিয়া, করণদিঘি ও গোয়ালপোখর, এই তিনটি কেন্দ্র দাবি করেছি। জোটের ধর্ম মেনে কংগ্রেসকে ছাড়তে হলে গোয়ালপোখর ছাড়া হবে। সিপিএম যদি বলে আমরা লড়াই সংগ্রামে নেই, সেজন্য করণদিঘি তাদেরকে দেওয়া হোক, সেক্ষেত্রে ইসলামপুর মহকুমা এলাকায় তো সিপিএম নেই। তাহলে এখানকার সবগুলি কেন্দ্র ফব’কে দেওয়া হোক।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর গোটা জেলার বাম নেতা-কর্মীরা দলবদল করেছেন। এতে সংগঠন দুর্বল হয়েছে। করণদিঘিতেও বামেদের সংগঠন দুর্বল। ২০১৬ সালের আগে কেন্দ্রটি ফব’র দখলে ছিল। বিধায়ক ছিলেন গোকুল রায়। এবার অবশ্য তিনি আগেই জানিয়েছেন, প্রার্থী হচ্ছেন না।
ফব বিধায়ক থাকাকালীন পঞ্চায়েত সমিতি ও একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত বামেদের দখলে ছিল। কিন্তু বর্তমানে একটি পঞ্চায়েতও বামেদের দখলে নেই। পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের একজন সদস্য আছেন। ফব’র এক সদস্য ছিলেন, পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। জেলা পরিষদের একজন সদস্যও বামেদের নেই। কার্যত সংগঠন খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখন বড় শরিক সিপিএমের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।