গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) কুনুওয়ার ভূষণ সিং বলেন, ধৃত আকাশ মাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন সে খুন করেছে, নেশা সংক্রান্ত বিবাদের পাশাপাশি অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, ওই মহিলার সঙ্গে তার পরিচয়ের সূত্র কী সবদিকই আমরা খতিয়ে দেখব। পাশাপাশি খুন হওয়া ওই মহিলার ব্যাপারেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে ধৃত স্বীকার করে নিয়েছে সে ওই মহিলাকে খুন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ি জংশনের পুরনো পাসপোর্ট অফিসের কাছে রাস্তার ধারে এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ প্রধাননগর থানার পুলিস উদ্ধার করে। শহরের অন্যতম জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি পুলিসের ভূমিকা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিসও কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছিল। কারণ মৃত মহিলা একজন ভবঘুরে বলেই পুলিস জানতে পেরেছিল। তদন্তে নেমে সন্দেভাজন কয়েকজনকে ম্যারাথন জেরা করে পুলিস। তাতে সাক্ষী হিসেবে একজন মহিলাকে পেয়ে যায়। সেই মহিলাই খুনির পরিচয় ও খুন হওয়ার আগে দু’জনের মধ্যে বচসা ও মারামারি হওয়ার ঘটনা পুলিসকে জানায়। সেই মতো এদিন প্রধাননগর থানার পুলিস আকাশ মাহাতকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বাড়ি প্রধাননগরের রামভজন কলোনিতে। তদন্তকারী অফিসাররা রাতারাতি মৃতার বাড়িও খুঁজে বের করে। ওই ভবঘুরে পূর্ব সিকিমের সিংতামের বাসিন্দা ছিল। তবে ওই মহিলা শিলিগুড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল।
জংশনে রেল স্টেশন, সরকারি, বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড, পাহাড়গামী ছোটগাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে। প্রচুর হোটেল, লজ, কয়েকটি নার্সিংহোম আছে। তাই ২৪ ঘণ্টাই এলাকায় লোকজন রাস্তায় থাকে। এরমধ্যেও মহিলা খুনের ঘটনার পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে।